হাইকোর্টে যাচ্ছেন হিরো আলম

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ভোট পুনর্গণনার কোনো সুযোগ না থাকায় হাইকোর্টে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) আসনে একতারা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৮৩৪ ভোটে হেরে যাওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলম। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।

রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) জেলা প্রশাসক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বরাবর ৪৫টি কেন্দ্রে ভোট পুর্নগণনার জন্য লিখিত আবেদন করেন হিরো আলম। কিন্তু জেলা নির্বাচন অফিস জানিয়েছে, ইভিএম-এ ভোট পুর্নগননার কোন সুযোগ নেই।

এ বিষয়ে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বগুড়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মাহমুদ হাসান বলেন, ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএমে) ভোট পুনর্গণনার কোনো সুযোগ নেই। হিরো আলমের আবেদন নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হবে। হিরো আলমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’

হিরো আলম রোববার রাতে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখানে তিনি তাঁর আইনজীবীদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা করবেন। এরপর হাইকোর্টে রিট করবেন।

এ বিষয়ে হিরো আলম বলেন, ‘ইভিএম এ ভোট পুনর্গণনা করা যাবে না এ কথা জেলা নির্বাচন অফিস থেকে জানানো হয়েছে। এরপর আমি হাইকোর্টে রিট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার যখন মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছিল, তখনও হাইকোর্টে গিয়েছিলাম। আমার মনোনয়নপত্র ফিরে পেয়েছিলাম। তাই আশা করছি, আমি আদালতে ন্যায় বিচার পাব।

উল্লেখ্য, বগুড়া-৬ আসনে জামানত হারালেও বগুড়া-৪ আসনে মাত্র ৮৪৩ ভোটের ব্যবধানে ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেনের কাছে হেরে যান হিরো আলম। ভোট গণনার সময় দেখা যায়, হিরো আলম ১১২ কেন্দ্রের মধ্যে ৬০ কেন্দ্রে এগিয়ে ছিলেন। পরে সব কেন্দ্রের ভোট গণনার পর তিনি পান ১৯ হাজার ৫৭১ ভোট। বিজয়ী প্রার্থী রেজাউল করিম তানসেন মশাল প্রতীকে ২০ হাজার ৪০৫ ভোট পান।

হিরো আলমের অভিযোগ, ১০টি কেন্দ্রের ভোট গণনায় কারচুপির মাধ্যমে তাকে পরিকল্পিতভাবে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে। এজন্য তিনি ভোট পুনর্গণনার দাবি করে আসছেন।