তুরস্কে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাংলাদেশিদের দূতাবাসে যোগাযোগের আহ্বান

তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় বসবাসকারী বাংলাদেশিদের অবস্থা জানাতে দেশটির আংকারায় অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে যোগাযোগের আহ্বান জানানো হয়েছে। সোমবার রাতে এ বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়।

এতে বলা হয়, আদানা, গাজিয়ানতেপ, মালাতিয়া, দিয়ারবাকির, হাতায়, আদিয়ামান, ওসমানিয়ে ও সানলিউরফায় বসবাসরত/অবস্থানরত বাংলাদেশি নাগরিকদের তাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে দূতাবাসের নিম্নলিখিত নম্বরে যোগাযোগ/অবহিত করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।

যাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে- চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স মো. রফিকুল ইসলাম, যার ফোন নম্বর +৯০-৫৪৬-৯০৫-০৬৪৭ এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মো. আবুল বাশার, যার ফোন নম্বর +৯০-৫৩৮-৯১০-৯৬৩৫।

সোমবার সকালে তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়। এতে তুরস্কে এখন পর্যন্ত ২ হাজার ৯২১ জন নিহত হয়েছে। আর সিরিয়ায় ১ হাজার ৪শত ৪৪ জনের প্রাণহানি ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েক হাজার মানুষ। ভূমিকম্পে উভয় দেশে অনেক ভবন ধসে পড়েছে। অনেকেই আটকা পড়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক টুইট বার্তায় তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান বলেন, যত দ্রুত সম্ভব আমরা একসঙ্গে এই বিপর্যয় কাটিয়ে উঠব। ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তাৎক্ষণিক অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিট সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেইমন সইলু বলেন, ১০টি শহর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগুলো হচ্ছে গাজিয়ানতেপ, কাহরামানমারাস, হাতায়, ওসমানিয়ে, আদিয়ামান, মালাতিয়া, সানলিউরফা, আদানা, দিয়ারবাকির ও কিলিস। অনেক ভবন ধসে পড়েছে ও অনেক মানুষ ভেতরে আটকা পড়েছেন।

ভয়াবহ ভূমিকম্পের কারণে তুরস্কে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব স্কুল বন্ধ ঘোষণা করেছে দেশটির শিক্ষা মন্ত্রণালয়। দুটি দেশেই দুর্গত এলাকাজুড়ে এক বিশাল উদ্ধার অভিযান চলছে। তবে গ্রাম ও শহরগুলোয় উদ্ধারকর্মীদের ধ্বংসস্তূপ অনুসন্ধানের সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে।