সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করা হতে পারে: সংসদে অর্থমন্ত্রী

আ হ ম মুস্তফা কামাল সংসদকে জানিয়েছেন, পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার বাড়ানোর কোনো পরিকল্পনা সরকারের আপতত নেই। বিনিয়োগ পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরিবার সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার পুনর্নির্ধারণ করা হতে পারে।

মঙ্গলবার সংসদের বৈঠকে আওয়ামী লীগ দলীয় সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ও আলী আজমের পৃথক প্রশ্নের জবাবে সরকারের এই অবস্থানের কথা তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী। এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের বৈঠক শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।

নোয়াখালী-২ আসনের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী সংসদকে জানান, গত অর্থবছরের (২০২১-২২) তুলনায় চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) বাজেট বৈদেশিক সহায়তা কমছে। গত অর্থবছরে বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের থেকে সরকার ৩ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পেয়েছে। আর চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জন্য ২ দশমিক২৩ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ বাজেট সহায়তা পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, দ্রুত অর্থনৈতিক উন্নয়নের স্বার্থে সরকার বিভিন্ন ধরনের সংস্কারমূলক কার্যক্রম নিয়ে থাকে। এ সব সংস্কারমূলক কাজের বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করার জন্য অনেক সময় আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান সরকারকে ‘বাজেট সাপোর্ট’ শীর্ষক নীতি ঋণ বা পলিসি ক্রেডিট প্রদান করে। কাজেই, ‘রাশিয়া, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্টি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটসহ জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায়’ সরকার বাজেট সাপোর্ট গ্রহণ করছে বিষয়টি এ রকম নয়। এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া।

ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ১৫ বিলিয়ন ডলারের ৫৩টি প্রকল্প বর্তমানে চলমান রয়েছে। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী- এসব প্রকল্পের মধ্যে একটি গত বছরের ১৫ জুন, ৯টি গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ হয়েছে, ১০টি আগামী জুনে, ১৪টি এ বছর ডিসেম্বর, ১২টি ২৪ সালে, ১৩টি ২০১৫ সালে ও ৬টি ২০২৬ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদের আরেক প্রশ্নের জবাবে আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, দেশের কৃষির উৎপাদন বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে কৃষি সহায়তা প্রদান করার নিমিত্তে কৃষকদের সুদবিহীন ঋণ প্রদানের পরিকল্পনা নেই।

নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য মামুনুর রশীদ কিরনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রর শতভাগ অর্জনের লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কাজ করে যাচ্ছে। এনবিআর আশা করে অর্থবছর শেষে লক্ষ্যমাত্রা শতভাগ অর্জিত হবে।

নুরন্নবী চৌধুরী শাওনের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি অর্থবছরে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) পক্ষ হতে বাংলাদেশের খাদ্য যোগানে অনুদান পাওয়া যায়নি।