মৌলিক অধিকার এখন সরকারের দমন-পীড়নে ক্ষতবিক্ষত

mirza fokrul
ফাইল ছবি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, গণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার এখন বর্তমান সরকারের দমন-পীড়নে ক্ষতবিক্ষত। আইনের শাসন না থাকায় ঘরে-বাইরে কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই। বর্তমানে কোন অপরাধের সঙ্গে জড়িত না হয়েও নির্দোষ মানুষকে অপরাধী বানিয়ে গায়েবী মামলা, গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন ও হয়রানি করা হচ্ছে।

শুক্রবার দলটির ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে গড়ে ওঠা গণআন্দোলন ও বিএনপির নেতৃত্ব ধ্বংস করতেই অবৈধ মিডনাইট সরকার মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ ও তাদেরকে গ্রেপ্তার অব্যাহত রেখেছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, বর্তমানে চাল, ডাল, লবণ, চিনি, তেল, মাছ-মাংস, মুরগী, ডিম এমনকি কাঁচা মরিচসহ প্রতিটি নিত্যপণ্যের মূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতিতে জনজীবন যখন নাভিশ্বাসে উঠেছে, যখন টিসিবির পণ্য কিনতেও রীতিমত যুদ্ধ করতে হয়, চাল না পেয়ে ট্রাকে পড়ে থাকা চাল কুড়িয়ে মানুষ যখন ক্ষুধা নিবারণ করতে চায় তখন দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে ব্যর্থ সরকার জনদুর্ভোগ বিরোধী ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ ও দমন করতে ফ্যাসিবাদী কায়দায় ধারাবাহিকভাবে নিষ্ঠুর জুলুম-নির্যাতন অব্যাহত রেখেছে।

তিনি বলেন, পিরোজপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ রিয়াজ উদ্দিন রানা, সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মহিউদ্দিন মল্লিক নাসির, জেলা যুবদলের ত্রাণ ও পুণর্বাসন সম্পাদক রিয়াজ সিকদার, জেলা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন কুমারসহ অন্যান্য নেতাকর্মীদেরকে মিথ্যা মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ সেটিরই নির্লজ্জ বহিঃপ্রকাশ।

মির্জা ফখরুল, বর্তমান গণবিরোধী সরকারের স্মরণ করা উচিত যে, অতীতে যেমন কোন স্বৈরশাসনবিরোধী আন্দোলনের নেতাকর্মীদের গুম, খুন, গ্রেপ্তার ও নির্যাতন করে দমাতে পারেনি, বর্তমান শাসকগোষ্ঠীও গণতন্ত্রকামীদের আন্দোলন দমাতে পারবে না। সরকারি জুলুম-নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে সংগ্রামে আরও বেশি বলীয়ান হবে এবং অপহৃত গণতন্ত্র ও ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে জনগণের জীবন-জীবিকা রক্ষা ও দেশে সুশাসন নিশ্চিত করবে।