যশোরে টাকাও স্বর্ণালংকর আত্মসাতের অভিযোগে মামলা

মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পরপর জামাতার পরিবার কৌশল নিয়ে জমি রেজিষ্ট্রি ধার বাবদ ৮ লাখ টাকা ও ১৮ লাখ টাকা মূল্যের ১৮ ভরি স্বর্ণালংকর আত্মসাতের অভিযোগে বিয়াই ও বিয়েন এর বিরুদ্ধে কোতয়ালি থানায় মামলা করেছেন। শনিবার দিবাগত গভীর রাত ১৯ মার্চ রাতে মামলাটি করেন, যশোর শহরের ৩৭ বেজপাড়া মেইন রোডস্থ মৃত মাসুদুল হকের ছেলে আশরাফুল হক। মামলায় আসামী করেছেন, যশোর শহরের কাজী মঞ্জিল পশ্চিম সার্কিট হাউজপাড়া,বর্তমানে ফ্লাট-ডি,০২,বাড়ি নং ১৮, সেক্টর ৭,উত্তরা মডেল টাউন থানা উত্তরা, ঢাকার বাসিন্দা,কাজী আব্দুর রকিব এর ছেলে কাজী সাজ্জাদ হাসান ও কাজী সাজ্জাদ হাসানের স্ত্রী শাহিনা জাহান নূরী।

মামলায় বাদি উল্লেখ করেন, গত ২০২১ সালের ৫ নভেম্বর বাদির মেয়ে মোছাঃ লাবিবা আশরাফ শিমলার সাথে কাজী সাজ্জাদ হাসানের ছেলে শাহরুক হাসানের ঢাকাতে বিয়ে হয়েছিল। ইতিপূর্বে কাজী সাজ্জাদত হাসান যশোরে বসবাস করতেন। বাদির মেয়ের বেয়ে পরে বিগত ২০২২ সালের ১০ মে এবং ১১ মে যশোরে উল্লেখিত কাজী সাজ্জাদ হাসান ও তার স্ত্রী মোছাঃ শাহিনা জাহান নূরী ৮লাখ টাকা জমি রেজিষ্ট্রি সংক্রান্তে ধার নিয়েছিলেন। উক্ত বিয়াই বিয়েন ওই বছরের ১৪ মে বাদির মেয়েকে দেওয়া ১৮ ভরি স্বর্ণালংকর যার মূল্য ১৮লাখ টাকা,১ সপ্তার জন্য নগদ টাকা বিশেষ প্রয়োজন হওয়ায় বন্ধক রেখে বিয়াই বিয়ান টাকা নিয়েছিলেন। ওই সময় ১ সপ্তা পর বন্ধক ছাড়িয়ে স্বর্ণালংকর ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও আর ফেরত দেননি। বাদি আরো উল্লেখ করেন, কাজী সাজ্জাদ হাসানের ছেলে শাহরুক হাসানের ১ম স্ত্রী রয়েছেন। যা তিনি গোপন করে বাদির মেয়ের সাথে প্রতারণা পূর্বক বিয়ে দিয়েছিলেন। কাজী সাজ্জাদ হাসানের দুই স্ত্রী ছিলেন। বাদির মেয়ের বিয়ের পূর্বে ইহাও তিনি গোপন রেখেছিলেন। আসামীরা একত্রে যোগসাজসে দুষ্ট মনে পরবর্তীতে বাদির মেয়েকে তার শ^শুরালয় ঢাকাস্থ উত্তরা মডেল টাউনে আর প্রবেশ করতে দেয়নি। সর্বশেষ গত ২৮ ফেব্রুয়ারী বাদি তার বিয়াই বিয়েনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা নগদ অর্থ ও স্বর্ণালংকর আর ফেরত দিবে না বলে জানিয়ে দেন। আসামীরা প্রতারণা বিশ^াস ভঙ্গ করে অর্থ ও স্বর্ণালংকর আত্মসাতে করেছেন বলে বাদি উপায়ূন্তর না পেয়ে কোতয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ আসামীদের গ্রেফতাদের অভিযান শুরু করেছেন।