প্রতিরক্ষা ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা সম্প্রসারণে সম্মত ঢাকা-টোকিও

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ভবিষ্যতের সম্ভাবনাকে স্বীকৃতি দিয়ে প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সংক্রান্ত চুক্তির বিষয়ে আলোচনা শুরুকে স্বাগত জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার দেওয়া দুই প্রধানমন্ত্রীর যৌথ বিবৃতি অনুসারে, দুই প্রধানমন্ত্রী দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ অগ্রযাত্রাকে আগামী ৫০ বছর এবং তারও পরে এগিয়ে নিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে একটি ‘কৌশলগত অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করার বিষয়ে সম্মত হন।

উভয় নেতা সহযোগিতা, বিশেষ করে এই অঞ্চলে এবং এর বাইরে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সহযোগিতা, পারস্পরিক সুবিধা ও আঞ্চলিক সমৃদ্ধির জন্য অর্থনৈতিক সহযোগিতাকে গভীরতর করার এবং সাংস্কৃতিক সহযোগিতা ও জনগণের মধ্যে যোগাযোগ সম্প্রসারণের দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করেন।

জাপানের প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণে শেখ হাসিনা বর্তমানে সরকারি সফরে দেশটিতে অবস্থান করছেন এবং ২৬ এপ্রিল জাপানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

একই দিন প্রধানমন্ত্রী ইম্পেরিয়াল প্যালেসে জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশি, বাংলাদেশ-জাপান কমিটি ফর কমার্শিয়াল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের চেয়ারম্যান, জাইকা প্রেসিডেন্ট, জেট্রো চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মৈত্রী সংসদীয় লীগের সভাপতির সঙ্গে বৈঠকে যোগ দেন।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ২৫ এপ্রিল স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা ৪৫ মিনিটে টোকিও’র হানেদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান এবং সেখানে শেখ হাসিনাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা এবং স্ট্যাটিক গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।

শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মহামারি শুরুর আগে ২০১৯ সালে শেষবার সফর করার তিন বছর পর জাপান সফরে গেলেন।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিশেষ ফ্লাইট ২৫ এপ্রিল সকাল ৭ টা ৫৬ মিনিটে (বাংলাদেশ সময়) ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করে।