শীতলক্ষ্যায় নিখোঁজ দুই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

নরসিংদীর শিবপুরে শীতলক্ষ্যায় গোসলে নেমে পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ দুই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজের ২০ ঘণ্টা পর শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নদী থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

তারা হলো- পলাশ উপজেলার চর পলাশ এলাকার আব্দুর রহিমের মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী ইয়াসমিন আক্তার (১৫) ও শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের লাখপুর গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী ইমা আক্তার (১৫)।

বৃহস্পতিবার দুপুরে শিবপুরের লাখপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নামে তিন স্কুলছাত্রী। শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার ও পলাশ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাদিকুল বারী মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পলাশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাদিকুল বারী জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে লাখপুরে শীতলক্ষ্যা নদীতে গোসল করতে নামে সম্পর্কে আত্মীয় তিন স্কুলছাত্রী ইমা, ইয়াসমিন ও সাদিয়া। এ সময় সাদিয়া তীরে উঠে আসতে পারলেও বাকি দুজন নদীর স্রোতে তলিয়ে নিখোঁজ হয়। তারা কেউ সাঁতার জানতো না।

খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে তাদের উদ্ধারে যায় পলাশ উপজেলার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা। এ সময় তাদের উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। পরে টঙ্গি থেকে ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে আবারও উদ্ধার কাজ শুরু করেন তারা।

প্রথম দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত চলা অভিযানে তাদের খোঁজ করতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস ও ডুবুরি দল। দ্বিতীয় দিন শুক্রবার সকাল ৭টায় আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। সকাল সাড়ে ৯টায় ইয়াসমিন ও বেলা সাড়ে ১০টায় ইমার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে মরদেহ দুটি ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান শিবপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি) ফিরোজ তালুকদার।

এদিকে পলাশ উপজেলার চর পলাশ এলাকায় ইয়াসমিন আক্তারের মরদেহ বাড়িতে নেওয়া হলে আত্মীয়-স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। বাদ জুমা চর পলাশ জামে মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

পলাশের ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় ইমা আক্তারের প্রথম জানাজা বাদ জুমা শিবপুর উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের লাখপুরে গ্রামের বাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। বাদ আসর পলাশ উপজেলার চর পলাশ জামে মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।