লিফট কিনতে তুরস্কে যাওয়া স্থগিত

রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবিপ্রবি) প্রতিনিধি দলের তুরস্ক যাত্রা স্থগিত করা হয়েছে। পাবিপ্রবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের উপ-পরিচালক মো. ফারুক হোসেন চৌধুরী শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, ‘জানানো যাচ্ছে যে, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও আচার্যের নির্দেশক্রমে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দলের তুরস্ক যাত্রা স্থগিত ঘোষণা করেছে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।’

এর আগে শুক্রবার সকালে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয় সদস্যের প্রতিনিধি দল লিফট কিনতে তুরস্কে যাওয়া নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রিজেন্ট বোর্ডের সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু।

তিনি প্রেস ব্রিফিং করে সাংবাদিকদের বলেন, লিফট কিনতে বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি দু:খজনক। বর্তমান যুগে লিফট কিনতে বিদেশ যাওয়ার প্রয়োজন হয় না। উন্নতমানের লিফট যারা সরবরাহ করেন তাদের প্রতিনিধি এ দেশেই রয়েছেন। তাদের মাধ্যমে দেশ থেকে লিফট কেনা সম্ভব।

এ টাকা বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকারের টাকা না- পাবিপ্রবি ভিসির এ কথার জবাবে পিন্টু চৌধুরি বলেন, এই টাকা তো আকাশ থেকে পড়েনি। এই টাকা তো সরকার থেকে বরাদ্দ করা টাকা। ঠিকাদারের টাকাও সরকারের টাকা। ঠিকাদারের সদিচ্ছা থাকলে তিনি কাউকে প্রভাবিত না করে টাকাগুলো শিক্ষার্থীদের পেছনে ব্যয় করতে পারতেন।

অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু বলেন, লিফট কিনতে বিদেশ যাওয়া একটা আনন্দ।

প্রেস ব্রিফিংয়ে বিদেশ না গিয়ে সেই টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কল্যাণে ব্যয় করার পরামর্শ দেন তিনি। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা তো শিক্ষকদের কাছ থেকে শিখবে কিন্তু শিক্ষার্থীরা যদি দেখে, তাদের শিক্ষকরা ঠিকাদারের টাকায় বিদেশ ভ্রমণ করেন তাহলে তারা কী শিখবে?

উল্লেখ্য, পাবিপ্রবির নির্মাণাধীন পাঁচটি নতুন ভবনের জন্য পাঁচটি লিফট কিনতে তুরস্কে যাওয়ার কথা ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচর্যসহ ছয়জনের। আগামী মঙ্গলবার (৬ জুন) প্রতিনিধি দলের তুরস্কের উদ্দেশে যাত্রা করার কথা ছিল। এতে ব্যয় ধরা হয়েছিল ২৫ লাখ টাকা। এ ব্যাপারে গত ১৫ মে পাবিপ্রবির প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল (অব) জিএম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে বিষয়টি রেজিস্ট্রার বিজন কুমার ব্রহ্মকে জানানো হয়। এমন আয়োজনে পাবনার বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা ওই সফর বাতিলের দাবি জানিয়ে আসছিলেন।