খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিকেল ৪টায় শেষ হয়। তবে কিছু কিছু কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত থাকায় ৪টার পরও ভোট নেওয়া হয়। এখন চলছে ভোট গণনা।
নির্বাচনে ২৮৯ কেন্দ্রের মধ্যে বেসরকারিভাবে এখন পর্যন্ত ২৫০টির ফল জানা গেছে। এসব কেন্দ্রে ১,৩২,১০৮ ভোট পেয়ে এগিয়ে আছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক (নৌকা)। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাতপাখা প্রতীকের মো. আব্দুল আউয়াল পেয়েছেন ৫১,৪৬৬ভোট।
অন্যান্য প্রার্থীর মধ্যে জাতীয় পার্টি থেকে লাঙ্গল প্রতীকে মো. শফিকুল ইসলাম মধু পেয়েছেন ১৫,৪১৮ ভোট, জাকের পার্টি থেকে গোলাপ ফুল প্রতীকে এস এম সাব্বির হোসেন পেয়েছেন ৫,১৫২ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে টেবিল ঘড়ি প্রতীকে এস এম শফিকুর রহমান পেয়েছেন ১৪,৩৮১টি ভোট।
এদিন বিকেলে খুলনা শিল্পকলা একাডেমিতে কেসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন ভোটের ফল ঘোষণা করেন।
এর আগে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আলাউদ্দিন বলেন, খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৪২ থেকে ৪৫ শতাংশ ভোট পড়েছে। ভোট শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে, কোথাও ভোট বাতিল বা কোনো কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করা হয়নি।
এদিকে, খুলনায় মেয়র প্রার্থীরা ভোট দিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। খুলনায় শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে বলে জানান আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি বলেন, জনগণ যে রায় দেবে আমি তা মেনে নেব।
অন্যদিকে, ইভিএম মেশিনে ভোট নিতে সময় বেশি লাগায় ভোট কারচুপির শঙ্কা প্রকাশ করেন নির্বাচনে জাতীয় পার্টি (জাপা) মনোনীত লাঙ্গল মার্কার মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুল ইসলাম মধু।
খুলনা সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে ৫ জন, সাধারণ ২৯টি ওয়ার্ডে ১৩৪ জন এবং ১০টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ৩৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। নগরীর ১৩নং ওয়ার্ডে এস এম খুরশিদ আহমেদ টোনা এবং ২৪নং ওয়ার্ডে জেড এ মাহমুদ ডন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। খুলনা সিটির ৩১টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার ৫ লাখ ৩৫ হাজার ৫২৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ২ লাখ ৬৮ হাজার ৮৩৩ জন এবং নারী ২ লাখ ৬৬ হাজার ৬৯৬ জন।