অভয়নগরে বন্ধ থাকা রাস্তা সংস্কারের কাজ তিন বছর পর শুরু

যশোরের অভয়নগরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) একটি রাস্তা সংস্কারের কাজ তিন বছর পর শুরু হয়েছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে এলাকাবাসী মাঝে। দ্রত সময়ের মধ্যে সংস্কার কাজ সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত ৩০ লাখ টাকা বেশি খরচের ঝুঁকি রয়েছে বলে দাবি করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

জানা গেছে, ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে খুলনা বিভাগ পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন (১ম সংশোধিত) শীর্ষক প্রকল্পের আওয়াতায় অভয়নগর উপজেলার তালতলা বাজার থেকে সিরাজকাটী, চলিশিয়ার ঋষিপাড়া চৌরাস্তা মোড় হয়ে ডুমুরতলা পর্যন্ত ৫ হাজার ৩শ’ ১০ মিটার রাস্তা সংস্কারের টেন্ডার পায় ‘ওয়াই এ খান’ নামে খুলনার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ১ কোটি ৯৩ লাখ ৭ হাজার ৪৩৮ টাকা ব্যয়ে রাস্তাটির সংস্কার কাজ ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারির মধ্যে বাস্তবায়নের কথা ছিল। কিন্তু বর্ষাজনিত, নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি ও কোভিড-১৯ এর কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। চলতি বছরের জুন মাসের ১৫ তারিখ থেকে পুনরায় রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

সরেজমিনে শনিবার (২৪ জুন) দুপুরে চলিশিয়া ইউনিয়নের চলিশিয়া ঋষিপাড়া চৌরাস্তা মোড়ে গিয়ে দেখা গেছে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের একটি রোডরোলারসহ ১২ জন শ্রমিক রাস্তা সংস্কারের কাজ করছে।

এলাকাবাসীর পক্ষে চলিশিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সানা আব্দুল মান্নান জানান, রাস্তাটির সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার পর তা বন্ধ হয়ে যায়। চরম ভোগান্তিতে পড়ে এলাকাবাসী। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় প্রায় ৩ বছর পর পুনরায় কাজ শুরু করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। বিটুমিনের পরিমান সঠিক রেখে দ্রুত সময়ের মধ্যে সংস্কারের কাজ সম্পন্ন করার আহবান জানান তিনি।

এ ব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের তত্ত্বাবধায়ক ও অভয়নগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি আসলাম হোসেন বিশ্বাস জানান, ২০২০ সালের জুন মাস থেকে কাজ শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু অতি বৃষ্টির কারণে রাস্তার দুই পাশে পানি জমতে শুরু করায় কাজ শুরু করা সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে কোভিড-১৯ ও দফায় দফায় নির্মাণসামগ্রীর মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় সংশ্লিষ্ট দপ্তরে রিভাইজ এস্টিমেট দেওয়া হয়। কিন্তু সেই এস্টিমেট সংশ্লিষ্ট দপ্তর গ্রহণ করেনি।

তিনি আরও জানান, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে ও এলাকাবাসীর স্বার্থে গত ১৫জুন থেকে কাজ শুরু করা হয়েছে। এখন এই রাস্তার কাজ সম্পন্ন করতে নির্ধারিত ব্যয়ের থেকে আরো ৩০ লাখ টাকা বেশি খরচ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যা ব্যবসার জন্য লোকসানের ঝুঁকি বাড়িয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করার জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।