যশোরে নয়ন হত্যা মামলার পুনঃতদন্তে খামার মালিকে অভিযুক্ত করে পুনঃচার্জশিট

যশোর খাজুরার শর্শুনাদহ গ্রামের কলেজ ছাত্র নয়ন হত্যা মামলায় মুরগীরর খামারীরর মালিক ইসরাফিলকে অভিযুক্ত করে পুনঃচার্জশিট দিয়েছে কোতয়ালি থানা পুলিশ। হত্যার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এ মামলার এজাহারনামীয় তিন আসামির অব্যহতির আবেদন করা হয়েছে চার্জশিটে। মামলার তদন্ত শেষে এসআই আনছারুল হক আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, নয়ন খাজুরা সরকারি শহীদ সাংবাদিক সিরাজুদ্দীন হোসেন কলেজের একাদশ শ্রেণীর ছাত্র ছিল। প্রতিবেশীর এক মেয়ের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে মেয়ের প্রেমকে তার পরিবার মেনে নিতে পারেনি। আসামি মাহাবুর রহমান তার ভাতিজীর সাথে সম্পর্ক না রাখার জন্য নয়নকে হুমকি দেয়। ২০১৮ সালের ১৫ জুলাই রাতে খেলা দেখে বাড়িতে এসে খাওয়া শেষে মোবাইল ফোনে কল আসলে নয়ন বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফেরিনি। পরদিন সকালে ই¯্রাফিলের মুরগীর খামারের পাশ থেকে নয়নের লাশ উদ্ধার করে স্থানীয়রা বাড়ি নিয়ে আসে। এ ব্যাপারে নিহতের পিতা সফিয়ার রহমান বাদী হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে মামলা করেন। আদালতের আদেশে ২০১৮ সালের ২৮ অক্টোবর কোতয়ালি থানায় নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়। আসমিরা হলো শর্শুনাদহ গ্রামের মৃত আমজেদ তরফদারের ছেলে মাহবুর রহমান, আসিরউদ্দিন তরফদারের স্ত্রী খুকুমনি ও মেয়ে রিয়া।

মামলাটি প্রথমে থানা পুলিশ পরে সিআইডি পুলিশ ও ডিবি তদন্তের দায়িত্ব পায়। তদন্ত শেষে দুর্ঘটনাবসত হত্যার অভিযোগে মুরগীর খামারের মালিক ইসরাফিলকে অভিযুক্ত ও অপর তিন আসামির অব্যহতির আবেদন জানিয়ে চার্জশিট জমা দেয়া হয়। সর্বশেষ মামলার বাদী চার্জশিটের উপর নারাজি আবেদন করলে কোতয়ালি থানা পুলিশকে পুণঃতদন্তের আদেশ দেয় আদালত। মামলার তদন্ত শেষে মুরগীর খামারে শিয়ার ধারা বিদ্যুতের ফাঁদে জড়িয়ে নয়নের মৃত্যু হওয়ায় খামার মালিক ই¯্রাফিলকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। ইসরাফিল জামিনে আছে বলে চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।