বগুড়া বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ ২ নেতাকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ

বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল।
বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েল।

বগুড়ায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েলকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।

মঙ্গলবার রাত ৩টার পর ‘ডিবি পুলিশের’ একটি দল তাদের নিজ নিজ বাসা থেকে তুলে নেয় বলে অভিযোগ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা।

তিনি সমকালকে বলেন, ‘রাত সাড়ে ৩টার দিকে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনাকে শহরের সূত্রাপুরের বাসা থেকে ডিবি পুলিশ তুলে নিয়ে গেছে। এর আগে রাত সোয়া ৩টার দিকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক মাজেদুর রহমান জুয়েলকে পুরান বগুড়ার বাড়ি থেকে ডিবি পরিচয়ে তুলে নেওয়া হয়।’

জেলা বিএনপির শীর্ষ এই নেতা আরও বলেন, ‘তাদের আটক করে কোথায় রাখা হয়েছে এখনো জানানো হয়নি। যদি মামলা হয় আইন অনুযায়ী গ্রেপ্তার করবে। তবে আটকের পরও স্বীকার না করা ভয়াবহ। তাদের নিরাপত্তা নিয়ে আমরা শঙ্কা প্রকাশ করছি।’

এ বিষয়ে জানতে বগুড়া গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজ হাসানের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে জেলা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, গতকালের পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় রাতেই মামলা রুজু হওয়ার কথা। এজন্য হয়তো তাদের আটক বা গ্রেপ্তার করা হতে পারে।’

মঙ্গলবার বগুড়ায় বিএনপির এক দফা দাবিতে পদযাত্রাকালে পুলিশের সঙ্গে নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ২০ থেকে ২৫ জন পুলিশ সদস্য ও শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী আহত হন বলে প্রাথমিকভাবে অভিযোগ পাওয়া যায়। পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় ইয়াকুবিয়া স্কুলের ২৭ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। ইয়াকুবিয়া স্কুল মোড় থেকেই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়।