নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে চুক্তিতে যাচ্ছি না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা স্বাধীন অবস্থায় আছি। এতে অনেকের অসুবিধা হতে পারে।

আমরা ব্যালেন্সড পলিসি চালিয়ে আসছি। নির্বাচনের আগে তড়িঘড়ি করে কোনো চুক্তিতে যাচ্ছি না।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আপনারা আমেরিকার পক্ষে তড়িঘড়ি হৈ-চৈ করেন কেন? আপনারা আমেরিকার হয়ে চাপ দিচ্ছেন। আপনারা দেশের হয়ে ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করেন। আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে কাজ করছে।

শনিবার (১২ আগস্ট) দুপুরে সিলেট নগরের শাহী ঈদগাহ এলাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সনদপত্র বিতরণ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা নির্বাচন নিয়ে কোনো টালবাহানা করিনি। বিদেশি শক্তির পরামর্শেও চলিনি। আমরা নির্বাচন করবো, আমাদের আইনে, শাসনতন্ত্র নিয়মে। নির্বাচন যাতে সুষ্ঠু ও সুন্দর হয়, সেজন্য আমরা অনেকগুলো পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা ভোটার আইডিকার্ডের ফটো দিয়ে তৈরি করেছি। কারণ আজিজ মার্কা এক কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোট আমরা করতে চায়নি। এজন্য এখন ফটো আইডি করেছি, আঙুল দেবেন, আপনার ব্যালট বের হবে। একটি করার উদ্দেশ্য হলো, যাতে ভুয়া ভোট না হয়, যে কারণে এটা ইনস্টল করেছি। এছাড়া আমরা ট্রান্সফারেন্স ব্যালট বক্স করেছি, যাতে রাতের আঁধারে ভোট না হয়। আপনারাতো রাতের আঁধারে ভোটের অভিযোগ করেন, কিন্তু প্রমাণ দেখাতে পারেননি।

ড. মোমেন বলেন, আমরা অত্যন্ত শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন করেছি। আমরা আজিজ মার্কা নির্বাচন কমিশন করিনি। তাদের প্রচুর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনে যত সিকিউরিটি আছে, তারা কোনো দলের প্রতি আনুগত্য থাকলে তাদের টার্মিনেট হবে। নির্বাচন বাতিল করারও ক্ষমতা তাদের দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন বিশ্বের খুব কম দেশে আছে। অন্যান্য দেশে যে সরকার আছে, তাদের নেতৃত্বে নির্বাচন হবে। শুধু বাংলাদেশে আপনারা একটি আজগুবি জিনিস নিয়ে আছেন, ‘দিস ইজ নট এক্সেপ্টেবল’। এটা দুনিয়ার আর কোথাও আছে? আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে রিজাইন করে ইলেকশন করতে বললে করবে? ইটস এ ব্যাড ইস্যু। এখানে আমাদের শাসনতন্ত্রের নিয়মে যে প্রভিশনস আছে, সে নিয়মে নির্বাচন হবে এবং যথাসময়ে হবে।