যশোরে ১৫ কেজি সাড়ে ৩শ’ গ্রাম সোনা পাচারের আলাদা মামলায় ৪ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে শার্শা থানা পুলিশ। মামলার তদন্ত শেষে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাশেদুজ্জামান ও এসআই আনিসুর রহমান মোড়ল।
অভিযুক্ত আসামিরা হলো, শার্শার গোগা গ্রামের গাজীপাড়ার কুদরত উল্লাহ সরদারের ছেলে কামরুল এবং নড়াইল লোহগাড়ার মঙ্গলপুর গ্রামের মধ্যপাড়ার মৃত আলেক মোল্যার ছেলে জাহিদুর রহমান মোল্য, ইনছান কাজীর ছেলে হৃত্তিক কাজী ও যশোর বেনাপোলের পুটখালির ইউনুস আলীর ছেলে বিল্লাল হোসেন।
মামলার অভিযোগে জানা গেছে, গত ২১ মার্চ সকালে শার্শার গোগা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদে জানতে পারেন, একব্যক্তি সোনা পাচারের উদ্দ্যেশে বাগআচড়া থেকে হেটে গোগা গ্রামে যাবে। এ সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা জব্বারের মোড়ে অবস্থান নেন।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এজনকে আসতে দেখে তাকে আটক ও তার দেহ থেকে বিশেষ কায়দায় বাধা ১৩টি সোনার বার যার ওজন ১ কেজি ৫শ’৫৬ গ্রাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আটক কামরুলের বিরুদ্ধে চোরাচালান দমন আইনে শার্শা থানায় মামলা করেন বিজিবির নায়েক জালাল উদ্দিন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আনিসুর রহমান দীর্ঘ তদন্ত শেষে আটক আসামির দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকয় কামরুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন।
অপরদিকে, গত ৪ এপ্রিল কায়বা বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরা বিকেলে চোরাচালান দমনে বাগআচড়া-গোগা সড়কে অবস্থান নেন। বিকেলে কায়বা গ্রামের সাহেবের ব্রিজ সংলগ্ন রাস্তায় একটি মোটরসাইকেল আসতে দেখে থামার সংকেত দেয় বিজিবি।
এ সময় মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যাওয়ার সময় তিনজনকে আটক ও তাদের মোটরসাইকেলে ভিরত বিশেষ কায়দায় রাখা ৬১টি সোনার বার যার ওজন ১৫ কেজি ৩শ৪৬ গ্রাম উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বিবিজির হাবিলদার মালেক গাজী বাদী হয়ে আটক জাহিদুল, বিল্লাল ও হিৃত্তিককে আসামি করে শার্শা থানায় মামলায় করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে আটক আসামিদের দেয়া তথ্য ও সাক্ষীদের বক্তব্যে ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় ওই তিনজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে এ চার্জশিট জমা দিয়েছেন তনন্তকারী কর্মকর্তা। চার্জশিটে আলাদা দুই মামলায় চারজনকে আটক দেখানো হয়েছে।