পাবনায় গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ

পাবনা সরদ উপজেলার মজিদপুরে বিয়ের ১ মাস ৭ দিনের মাথায় বর্ষা খাতুন (১৮)
নামক এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। রবিবার দিবাগত রাতে
এই ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য
পাবনার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিহতের চাচাতে ভাই মাহফুজুর রহমান জানান, গত ১ মাস ৭ দিন আগে আতাইকুলা
থানার মৌপাড়া গ্রামের শাহেদ আলীর ছেলে মীর্জা মাহফুজুর রহমানের সাথে সদর
উপজেলা মালিগাছা ইউনিয়নের মজিদপুর গ্রামের বিষুর মেয়ে বর্ষা খাতুনের বিয়ে
হয়। বর্ষা গত এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয় এবং টেবুনিয়া শামছুল হুদা
ডিগ্রী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হয়।

কলেজে ভর্তি জতিন কাজের জন্য সে বেশ কিছু দিন ধরে বাবার বাড়ীতেই অবস্থান করছিল। রবিবার বর্ষার স্বামী
মীর্জা মাহফুজুর রহমান শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে আসেন। তারা রাতের খাওয়া শেষে
এক ঘরে ঘুমাতে যান। রাত ৪ টার দিকে বর্ষা ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে
তার স্বামী বাড়ির সদ্যদের জানান। পরে বাড়ির লোকজন ছুটে এসে দেখেন বর্ষার
মৃতদেহ বিছানার উপর পড়ে আছে।

মাহফুজুর রহমান আরো জানান, বর্ষাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। কারণ
তার ঘারে, গলায় আঘাতের চিহ্ন করেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।
পাবনা সদর থানার এসআই জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে আত্মহত্যা মনে
হলেও তাকে হত্যা করা হয়েছে নাকি তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

এ ঘটনায় নিহতের স্বামী মীর্জা মাহফুজুর রহমান এবং তার বাবা শাহেদ আলীকে জিজ্ঞাসাবাদ এর
জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাবনার জেনারেল
হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলেই মৃত্যুর প্রকৃত
কারণ জানা যাবে।