সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে আবারও ভ্রমন কর ফাঁকি দিয়ে যাতায়াত করছে পাসপোর্ট যাত্রীরা। রোববার ৪ জন ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী ভ্রমন কর ফাঁকি দিয়ে ভারত যাওয়ার সময় ধরা পড়ে স্থানীয়দের কাছে। তবে স্থানীয়রা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবগত করালেও কোন কাজ না হওয়ায় তাদের ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়।
ভারতীয় নাগরিক মোঃ নশি ( পাসপোর্ট নং ওয়াই -৫৯৬৯৪৮২) মোঃ সালু (পাসপোর্ট নং পি-৭২৪১৫১২) মোঃ রিয়াজ উদ্দিন (পাসপোর্ট নং ডাব্লিউ ১৫৯৭৫৪১) মোঃ আফ্রিদি (পাসপোর্ট নং টি- ৮৪০৭৩১২)।
ভারতীয় এ নাগিরকরা তাদের পাসপোর্ট নিয়ে স্থল বন্দরের এন্ট্রি রশিদ কাটার সময় তাদের কাছে থাকা ভ্রমন কর চেক করলে দেখা যায় ৪ টি ভ্রমন কর ফাঁকি দিয়ে জাল ট্যাক্স কেটেছে। এডিটিং এর মাধ্যেমে ট্যাক্স গুলো নাম পরিবর্তন করা হয়েছে। আশ্চার্য বিষয় হলো ৪টি ভ্রমন কর এর রেফারেন্স আইডি এবি০৮৭৬৫৪। যা যাচাই করলে দেখা যায় ৫/০৪/২০২২ তারিখে মাসুদুর রহমান বিশ্বাস নামে একজন এর নাম আসে। এবং ওই ট্যাক্স ৫০০ টাকা দেওয়া হয়েছে ওই নামে ওই তারিখে।
এ ভাবে ভারতীয় নাগরিকরা প্রতিনিয়ত ভ্রমন কর ফাঁকি দিয়ে যাতায়াত করলেও কর্তৃপক্ষকে বার বার অবগত করালে ও কোন সঠিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
জাল ভ্রমণ কর ধরা পড়ার পর বেনাপোল চেকপোষ্ট কাস্টমস সুপার মোখলেছুর রহমানকে বিষয়টি অবগত করালে তিনি বলেন এখন আমার ডিউটি নাই। জাহাঙ্গীর সাহেবকে জানান। জাহাঙ্গীর সাহেব এর নাম্বার নেই আপনি উনাকে ফোন করে দুই জন সিপাই পাঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করেন । তখন তিনি বলেন আমি দেখছি। এরপর বেনাপোল কাস্টমস কমিশনার মোহাম্মাদ হাকিমকে ম্যাসেজ দিলে তিনি কোন উত্তর দেন নাই। এর আগেও হাকিম সাহেবকে বিষয়টি কয়েক দফায় অবগত করা হলেও তিনি কোন গুরুত্ব দেন নাই। এছাড়া তাকে ফোন করলেও ফোন রিসিভ করেন না।
স্থানীয়রা জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসীনতার কারনে এ ভাবে ভ্রমন কর ফাকি দিয়ে সরকারকে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত করছে এক শ্রেনীর অসাধু ব্যবসায়ি ও পাসপোর্ট যাত্রীরা। উল্লেখ্য এসব যাত্রীরা প্রায় প্রতিদিনি বিজিনেস ভিসার সুবাদে বাংলাদেশ যাতায়াত করে থাকে।