যশোর মেডিকেলের টেকনোলজিস্ট আব্দুর রশিদ কোটি কোটি টাকার মালিক !

যশোর মেডিকেল কলেজের টেকনোলজিস্ট আব্দুর রশিদের বিরুদ্ধে অবৈধ ভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তোলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেডিকেলের যন্ত্রাংশ ও ক্যামিক্যাল চুরি করে বিভিন্ন ক্লিনিকে বিক্রি করে আজ সে অগাধ সম্পদের মালিক বনে গেছেন।

অনুসন্ধানকালে একাধিক সূত্র জানায়, আব্দুর রশিদ যশোর মেডিকেল কলেজে ও বিভিন্ন হাসপাতালে মেডিকেল টেকনোলজিস্ট পদে চাকুরি করা কালিন মেডিকেলের দামি যন্ত্রাংশ ও ক্যামিক্যাল চুরি করে শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে বিক্রি করে আজ কোটি কোটি টাকার মালিক বনে গেছেন। যশোর শহরের ষষ্ঠীতলা পাড়ায় প্রায় ৫ শতক জমির উপর গড়ে তুলেছেন বিলাস বহুল ৫ তলা আলিশান বাড়ি।

বর্তমান বাজারে যার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা। এর আগে যশোর শহরের রেলগেট তেঁতুলতলা এলাকায় ৭ শতক জমি খরিদ করে। সরকারি মালামাল লোপাটকারি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট আব্দুর রশিদ। বর্তমানে রেলগেট তেঁতুলতলার ঐ জমিটি তিনি বিক্রি করে দিয়েছেন বলে সূত্র জানায়। নিয়ম রয়েছে সরকারি চাকুরি বিধি ভঙ্গ করে চাকুরিরত অব¯’vয় কোন ব্যবসা বা প্রতিষ্ঠান করা যাবে না। কিš‘ মহাদুর্নীতিবাজ আব্দুর রশিদ চাকুরি বিধি ভঙ্গ করে ঝিকরগাছা উপজেলা সদরে ৫ শতক জমি কিনে সেখানে কপোতাক্ষ ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ক্লিনিক করেছেন। যা তার অবৈধ অর্থে কেনা হয়েছে বলে সূত্র জানায়। ১৯৭৯ সালের সরকারি কর্মচারি (আচরণ) বিধিমালার ব্যক্তিগত ব্যবসা বা চাকুরি সংক্রান্ত বিধান (বিধি ১৭) বলা হয়েছে এই বিধির অন্য ধারায় বর্নিত শর্ত সাপেক্ষে কোন সরকারি কর্মচারি সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া তাহার সরকারি কর্তব্য ব্যতীত অন্য কোন ব্যবসায় জড়িত হতে বা কোন চাকুরি কিংবা কর্ম গ্রহন করতে পারবেন না। তবে একজন নন গেজেটেড সরকারি কর্মচারি সরকারের পূর্বানুমতি ছাড়া ক্ষুদ্র ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন। যেখানে তিনি তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শ্রম খাটাতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে তিনি ব্যবসার বিস্তারিত বর্ননাসহ সম্পত্তির বিবরণ দাখিল করবেন। অথচ টেকনোলজিস্ট আব্দুর রশিদের এসব কোন নিয়ম কানুন মানেননি। যশোর মেডিকেল কলেজ থেকে চুরি করে যন্ত্রাংশ ও কেমিক্যাল নিয়ে তার নিজস্ব ক্লিনিকে ব্যবহার করে বলেও বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এসব অবৈধ কাজের মাধ্যমে উপার্জিত অর্থ দিয়ে আব্দুর রশিদ গ্রামের বাড়ি মণিরামপুর উপজেলার মদনপুরে ৩ তলা বাড়ি ও মাহাতাব নগর গ্রামের মাঠে মোট ১৭ বিঘা জমি খরিদ করেছেন। এরমধ্যে ১২ বিঘা জমিতে মাছের ঘের করেছেন তিনি। বাকি ৫ বিঘা জমি চাষাবাদে ব্যবহার n‡”Q নিজের নামে ও বেনামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অপ্রদর্শিত ত আরও অনেক সম্পদ রয়েছে বলে জানা গেছে। অত্যন্ত ধূরন্ধর আব্দুর রশিদ এসব সম্পদের কিছু কিছু নিজের নামে ও বাকি সম্পদগুলি স্ত্রী ও স্বজনদের নামে করেছেন বলে জানা গেছে। ব্যাংকেও রয়েছে তার নামে বেনামে কোটি কোটি টাকা। সামান্য একজন সরকারি চাকুরে আব্দুর রশিদের এতো সম্পদের কথা শুনে এলাকাবাসী হতবাক হয়েছেন। একসময় যার পরিবারে নুন আনতে পান্তা ফুরাতো আজ তার কোটি কোটি টাকার সম্পদ নিয়ে নানা প্রশ্ন তুলেছেন ¯’vনীয় বাসিন্দা। সরেজমিনে অনুসন্ধানকালে বিভিন্ন সূত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

শুধু তাই নয়, যশোর স্বা¯’¨ বিভাগের বেশ কয়েকজন সৎ কর্মকর্তার সাথে আব্দুর রশিদের সম্পদের ব্যাপারে কথা বললে তারাও বিস্মিত হন।

এব্যাপারে আব্দুর রশিদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি বলেন, ভাই রিপোর্টটি করবেন না? আমি c‡i আপনার সাথে দেখা করে বিষয়টি মিমাংসা করে নিবো। এবাপ্যারে এলাকাবাসি দূর্নীতি দমন কমিশনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।