বাগেরহাটে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড থেকে চাল উত্তোলন শুরু

বাগেরহাটের মোংলা পশুর চ্যানেলে ডুবে যাওয়া বাল্কহেড এমভি সাফিয়া থেকে চাল উত্তোলন শুরু হয়েছে। সোমবার (১ এপ্রিল) সকাল ৭টা থেকে সাতজন ডুবুরি ও ৫০ জন শ্রমিক আটটি ট্রলার নিয়ে চাল উত্তোলনকাজে অংশ নেন।
চাল উত্তোলন শেষে বাল্কহেডটি উদ্ধার করতে দুই থেকে তিন দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন উদ্ধারকাজে অংশ নেওয়া শ্রমিকরা। তবে দীর্ঘ সময় পানির নিচে থাকায় বেশির ভাগ চালের বস্তা ফেটে গেছে ও চাল ফুলে উঠেছে।

শ্রমিক শেখ রাজু বলেন, সাতজন ডুবুরি ও ৫০ জন শ্রমিক মিলে চাল উত্তোলন শুরু করেছি। দুপুর পর্যন্ত দেড় হাজার বস্তা চাল ওঠানো সম্ভব হয়েছে।

এভাবে কাজ করলে আমাদের তিন দিনের মতো সময় লাগবে।রবিউল নামে আরেক শ্রমিক বলেন, জাহাজটি যেখানে ডুবেছে সেখানে প্রায় ৩০ ফুট পানি রয়েছে।

ডুবুরিরা অক্সিজেন পানির নিচে গিয়ে হুক লাগিয়ে দেন। আর আমরা ওপর থেকে টেনে তুলি। তবে চালগুলো ফুলে উঠেছে। বেশিরভাগ বস্তা ফেটে গেছে। 

চাল পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স আব্দুর রশিদ এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি আরাফাত বলেন, ডুবে যাওয়া এমভি সাফিয়া নামে বাল্কহেডটির মাধ্যমে আমরা সরকারি এ চাল মোংলা খাদ্য গুদামে পৌঁছানোর দায়িত্বে ছিলাম। সকাল থেকে আমরা চাল উত্তোলনের কাজ শুরু করেছি। চাল উত্তোলনের পর ডুবে যাওয়া বাল্কহেডটি উদ্ধার করা হবে।

মোংলা নৌ-পুলিশের ইনচার্জ সৈয়দ ফকরুল ইসলাম বলেন, বাল্কহেডটিকে ধাক্কা দেওয়া লাইটার এভি শাহাজাদা-৬ কে গত রোববার সন্ধ্যায় জব্দ করা হয়েছে। চাল পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান, বাল্কহেডের শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে মামলা দায়ের করা হবে।

গত রোববার (৩১ মার্চ) বিকেলে মোংলার পশুর নদীর ত্রি-মোহনায় ‘এমভি শাহাজাদা-৬’ নামে একটি লাইটার জাহাজের ধাক্কায় বাল্কহেডটি ডুবে যায়। তবে এ সময় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। জাহাজে থাকা পাঁচ নাবিককে অক্ষত অবস্থায় জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে ধাক্কা দেওয়ার অপরাধে ‘এভি শাহাজাদা-৬’ নামে লাইটার জাহাজটিকে এদিন সন্ধ্যায় জব্দ করেছে নৌ-পুলিশ।

এর আগে সকালে খুলনার সরকারি খাদ্য গুদাম থেকে ছয় হাজার বস্তায় ১৮০ মেট্রিক টন চাল নিয়ে মোংলা খাদ্য গুদামের উদ্দেশে ‘এমভি সাফিয়া’ নামে চালবোঝাই একটি বাল্কহেড জাহাজ ছেড়ে আসে। ঈদ উপলক্ষে গরিব-অসহায়দের জন্য চালগুলো আনা হয়েছিল।