বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি: কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

kamal
ফাইল ছবি

বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলায় ব্যাংকে ডাকাতি, অস্ত্র লুট ও ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণের ঘটনা যারা ঘটিয়েছে, তাদের বিচার হবে, কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বৃহস্পতিবার (০৪ এপ্রিল) সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কেন হঠাৎ তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে যে উদ্দেশ্যেই তারা এসব করুক না কেন, আমরা তাদের কাউকে ছাড় দেব না।

আর এমন কিছু ঘটেনি, যাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে হবে। আমরা দেখছি, ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আগে সবকিছু জেনে নিচ্ছি, তারপর সব ধরনের ব্যবস্থা নেব। এর পেছনে কারা, তাদের কোনো উদ্দেশ্য আছে কি না, কোনো ধরনের নাশকতা কিংবা অন্য কোনো পরিকল্পনা আছে কি না, সেগুলো দেখে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।

কোনো কিছুতেই ছাড় দেওয়া হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা এসবের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেব। গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যেভাবে তথ্য দিচ্ছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সেভাবেই কাজ করছে। পহেলা বৈশাখ কিংবা অন্য কিছু নিয়ে নাশকতার কোনো তথ্য আমাদের কাছে এখনো আসেনি। না এলেও আমাদের যে সতর্কতা, তা নেওয়া হচ্ছে।

বান্দরবানের ঘটনায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা হামলার কারণ বের করব। আর যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর পেছনে ভূ-রাজনৈতিক কিছু আছে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। অনেক কিছু হতে পারে। তবে তথ্য না জেনে কিছু বলতে চাচ্ছি না। আবার খুব অল্প সময়ের মধ্যে কয়েকটি বড় বড় শিল্পকারখানায় আগুন ধরার পেছনে কোনো রহস্য আছে কি না, তা ও খতিয়ে দেখা হবে।

আসাদুজ্জামান খান বলেন, কুকি-চিনের আস্তানা র‌্যাব ও আর্মি নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছিল। পরে আমাদের সীমানা পার হয়ে তারা ভিন্ন দেশে আশ্রয় নেয়। সেখানেই তারা অবস্থান করছিল। এখন তারা কোথা থেকে এসেছে, কীভাবে এসেছে! মাঝে মধ্যে তাদের প্রতিনিধিরা আমাদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা শান্তি চান বলেও জানিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ করে আক্রমণ ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা আমাদের কাছে নতুন কিছু মনে হচ্ছে। তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।