বিএনপিপন্থি মুক্তিযোদ্ধারা ভুয়া: ওবায়দুল কাদের

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপিপন্থি মুক্তিযোদ্ধারা ফ্রিডম ফাইটার বাই অ্যাকসিডেন্ট। এরা ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা।

আজকে ইতিহাসের সত্যকে জানতে হবে। ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে তারা মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ করে গণহত্যা নিয়ে কোনো কথা বলেনি।

আজকে তারা এখনো স্বাধীনতার ঘোষক নিয়ে বিতর্ক চালিয়ে যাচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আগামী ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর দিবস পালনের প্রস্তুতি ও খুলনা বিভাগীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার ম্যান্ডেট জনগণ থেকে পেয়েছিলেন শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধু। সত্তরের নির্বাচনে একাত্তরের স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার বৈধ ম্যান্ডেট কেবল বঙ্গবন্ধুই পেয়েছিলেন।

কাজেই স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়ার অধিকার অন্য কারো ছিল না।

বিএনপির ৮০ ভাগ নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার – দলটির এ দাবির প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মির্জা ফখরুল কথায় কথায় চোখের জল ফেলেন। ৮০ পার্সেন্ট নেতাকর্মী নাকি নির্যাতিত ও জেলে বন্দি। বলেন কোন কারাগারে তারা বন্দি আছে? আমির খসরু, মির্জা আব্বাস সবাই তো একে একে বাইরে। তালিকাটা প্রকাশ করুন। আর মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করবেন না।

সেতুমন্ত্রী বলেন, ১৭ এপ্রিল বিএনপিসহ বড় বড় দলগুলোর কোনো অনুষ্ঠানমালা আছে এমনটা জানা নেই। আমরা তা পালন করব। এটা বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনা। বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্মের চেতনাকে আওয়ামী লীগ ধারণ করবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরুল্লাহর সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম প্রমুখ।

এর আগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় অংশ নেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ কমিটি আয়োজিত এই সভায় তিনি মফস্বলের হাসপাতালগুলোর মান উন্নত করার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, দেশের মফস্বলের কোন কোন হাসপাতাল দেখে মনে হয় যেন আস্তাবল। হাসপাতাল যেন আস্তাবল না হয়। ডাক্তার আছে, ওষুধ নেই। আইসিইউ- এর মতো জরুরি বিষয়টি উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত থাকা দরকার।

উপ কমিটির চেয়ারম্যান আফম রুহুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ও স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা প্রমুখ। পরে ৫টি হাসপাতালে উপকমিটির পক্ষ থেকে হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।