যশোরের মনিরামপুরের হরিদাসকাটি ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (নায়েব) মোশাররফ হোসেনকে মারধরের অভিযোগে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার ২২ এপ্রিল দুপরে মোশাররফ হোসেনকে মারপিট করা হয়। সোমবার রাতে অভিযান চালিয়ে
দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটককৃরা হলো উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক
লীগ নেতা মাহাবুর রহমান (৪০) ও হোগলাডাঙ্গা এলাকার আসাদুজ্জামান
আসাদ (৫০)। এর আগে সোমবার রাতে ভুক্তভোগী নায়েব মোশাররফ
স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাসহ ৩জনকে আসামি করে মনিরামপুর থানায়
মামলা করেন।
মনিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী মাসুদ ও সহকারী
কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
ওসি মেহেদী মাসুদ বলেন, সোমবার রাতে নায়েব মোশাররফ হোসেন ৩
জনকে আসামি করে মামলা করেন। রাতেই অভিযুক্ত মাহাবুর ও আসাদকে
গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে আটককৃতদের আদালতে সোপর্দ
করা হয়।
মারধরের শিকার ভূমি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান,
হোগলাডাঙ্গা বাজারে সরকারি খাসজমি আছে। সম্প্রতি বাজারের
ইজারা হয়েছে। হোগলাডাঙ্গা বাজারের সরকারি জমির পাশে ব্যক্তি
মালিকানা জমি রয়েছে। কয়েক দিন আগে আমি ঘুরে এসে এসিল্যান্ড
স্যারের কাছে জমির পরিমাণ উল্লেখ করে প্রতিবেদন দাখিল করি।
তিনি বলেন, ঘটনার দিন সোমবার ২২ এপ্রিল সকালে কানুনগো
আকরাম হোসেন হোগলাডাঙ্গা বাজারে সরকারি জমি মাপতে যান।
কানুনগোকে সহায়তা করতে সেখানে আমি গিয়েছিলাম। বেলা ১টার
দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে অফিসের উদ্দেশে বের হই। তখন
হোগলাডাঙ্গা বাজারে আমাকে গতিরোধ করে মারধর করা হয়। প্রথমে
মাহাবুর আমাকে কিল-ঘুষি মারেন। এরপর আসাদ মোটরসাইকেলের
হেলমেট নিয়ে মাথায় আঘাত করেন।’
নায়েব মোশারফ হোসেন বলেন, হামলাকারীদের অভিযোগ, আমি
ব্যক্তিমালিকানা জমি সরকারি জমি দেখিয়ে প্রতিবেদন দিয়েছি। এই
অভিযোগে তাঁরা আমাকে মারধোর করেছে।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলী হাসান বলেন, আহত নায়েবকে
উদ্ধার করে মনিরামপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি সেখানে
চিকিৎসা নিচ্ছেন।
মনিরামপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি অরবিন্দু হাজরা বলেন,
অভিযুক্ত মাহাবুর রহমান আমার উপজেলা কমিটির সদস্য। তাঁর বিষয়টি
নিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কমিটির অন্য সদস্যদের সঙ্গে বসব।