যশোর জেলা পরিষদের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ চারজনকে স্ট্যান্ড রিলিজ

যশোর জেলা পরিষদের মহা ক্ষমতাধর কথিত কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে অবশেষে ষ্ট্যান্ড রিলিজসহ বদলী করা হয়েছে। খুলনা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার সুমনা আইরিন ২ ডিসেম্বর সোমবার স্বাক্ষরিত স্মারক নং ৮৬০ তারিখ ২/১২/২৪ইং অফিস আদেশে জনস্বার্থে বদলীর নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আদেশে বলা হয়েছে যশোর জেলা পরিষদের প্রধান সহকারী লুৎফর রহমান সরদার,হিসাব রক্ষক আবু হোরায়রা,সার্ভেয়ার আল আমিনকে নড়াইল জেলা পরিষদ এবং অফিস সহায়ক সরোয়ার উদ্দিনকে মেহেরপুর জেলা পরিষদে যোগদানের নির্দেশে দেয়া হয়েছে।

আদেশে আরো বলা হয়েছে বদলীকৃতদের ৩ ডিসেম্বর মঙ্গলবারের মধ্যে বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে। অন্যথায় এদিন অপরাহ্নে তাৎক্ষণিক বদলীকৃতদের অবমুক্ত হিসেবে গণ্য হবেন। বদলীর আদেশ পাওয়ার পর মঙ্গলবার ৩ ডিসেম্বর যশোর জেলা পরিষদের বদলীকৃতরা স্ব-স্ব জেলা পরিষদে যোগদানের উদ্দেশ্যে অত্র দপ্তর থেকে রওয়ানা হয়েছেন বলে যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন তাদেরকে অবমুক্ত করা হয়েছে।

সূত্রমতে জানাগেছে,অফিস সহায়ক সরোয়ার উদ্দিনের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের বিভিন্ন এলাকায় অবস্থিত রাস্তার পাশে গাছসহ বিভিন্ন সম্পদ আত্মসাত ও উৎকোচের বিনিময়ে জেলা পরিষদের বিভিন্ন কর্মসূচী বাস্তবায়নের সহায়তা এবং বিভিন্ন প্রকল্পের অর্থ উৎকোচ হিসেবে গ্রহনসহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠে। সরোয়ার উদ্দিনের বিরুদ্ধে জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান পিকুলের সাথে যোগসাজসে জনগনের জন্য বরাদ্দকৃত বিভিন্ন অর্থ আত্মসাত,ত্রানের মালামাল,শিক্ষার্থীদের জন্য বাইসাইকেল,অসহায় নারীদের জন্য সেলাই মেশিন বিক্রিসহ বহুবিধ অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয় স্থানীয় সরকার খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ে প্রেরণ করেন।

এছাড়া, অফিস সহায়ক হয়ে ক্ষমতাধর কর্মচারী হিসেবে অফিসকে ব্যবহারসহ বহুবিধ অভিযোগ উঠে। সরোয়ার উদ্দিন ছাড়াও অত্র অফিসে কর্মরত প্রধান সহকারী লুৎফর রহমান,হিসাব রক্ষক হুরাইরা ও সার্ভেয়ার আল আমিন এর বিরুদ্ধে যশোর জেলা পরিষদের দায়িত্ব পালনে বিভিন্ন দূর্নীতির অভিযোগ ও সম্পাদক আত্মসাতের খবর উঠে। তাছাড়া, একই স্থানে দীর্ঘদিন থাকার সুযোগে এসব কর্মচারীরা নানা দূর্নীতি ও অনিয়ম করে জেলা পরিষদের সম্পদ আত্মসাত করার অভিযোগ ওঠে।সম্প্রতি অত্র পত্রিকাসহ বিভিন্ন পত্রিকায় অফিস সহায়ক সরোয়ার উদ্দিনের বিরুদ্ধে তথ্য ভিত্তিক সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। যে সংবাদ স্থানীয় সরকার শাখা খুলনার পরিচালকের দপ্তরে আছে বলে সূত্রগুলো দাবি করেছেন।

সূত্রগুলো আরো বলেছেন, জনস্বার্থে বদলী হওয়া কর্মচারীরা নতুন কর্মস্থলে যোগদান করতে যাওয়ার সময় আদেশ পাওয়ার পর মন্তব্য করেছেন,যশোর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আছাদুজ্জামান বদলী হওয়ার পর পুনরায় তদবীর করে যশোর জেলা পরিষদে বদলী হয়ে আসবেন। বদলীর আদেশে আরো বলা হয়েছে,একইভাবে নড়াইল জেলা পরিষদের হিসাব রক্ষক মফিজুল ইসলাম, উচ্চমান সহকারী মোহাম্মদ কৌশিক ইসলামকে যশোর জেলা পরিষদে যোগদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এছাড়া,মাগুরা জেলা পরিষদের উচ্চমান সহকারী তুলসী রানী পালকে জেলা পরিষদ খুলনা,ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক/কম্পিউটার অপারেটর এম,ডি আসলাম হোসেনকে খুলনা জেলা পরিষদ,খুলনা জেলা পরিষদের নিম্নমান সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক/কম্পিউটার অপারেটর মঞ্জুরুল ইসলামকে ঝিনাইদহ জেলা পরিষদে জনস্বার্থে বদলীর আদেশ দেয়া হয়েছে।