যশোরে কমরেড সিরাজ সিকদার-এর ৫০তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

১৯৭৫ সালের ২ জানুয়ারি আওয়ামী ফ্যাসিস্ট মুজিব সরকার কমরেড সিরাজ সিকদারকে বন্দি অবস্থায় নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। ৩ জানুয়ারি শুক্রবার বিকালে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নয়া গণতান্ত্রিক গনমোর্চা যশোর জেলা আহবায়ক কমরেড খবির শিকদার। ছাত্র- যুব আন্দোলনের জেলা সমন্বয়ক সুমাইয়া শিকদার ইলার সঞ্চালনায় আলোচনার শুরুতে কমরেড সিরাজ সিকদার সহ বাংলাদেশের শহীদ মাওবাদী নেতাদের স্মরণে১ মিনিট নিরবতা পালন হয়। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সুরাইয়া শিকদার এশা কমরেড সিরাজ সিকদারের স্মরণে কবিতা আবৃত্তি করেন। আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন দেশপ্রেমিক জেলা বাম নেতা কমরেড শামিম বিশ্বাস।

বক্তরা আরো বলেন, গত ৫ আগস্ট ‘২৪ ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতা কুক্ষিগতকারী আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের পতন হয়েছে। কিন্তু গঠিত হয়েছে সাম্রাজ্যবাদের অনুগত, সেনা-আমলা সমর্থিত “তৃতীয় শক্তি”র অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। যা বড় বুর্জোয়া শাসকশ্রেণিরই ভিন্নগোষ্ঠী। তারা হাসিনার ফ্যাসিবাদী সংবিধান সমুন্নত রাখার অঙ্গীকার করে শপথ গ্রহণ করেছে। এই সরকারও সকল সাম্রাজ্যবাদ ও ভারতের সাথে তোষণ নীতি অনুসরণ করছে। তারা ‘৭১-এর খুনী জামাত-শিবিরসহ ধর্মীয় জঙ্গীবাদী ফ্যাসিবাদকে আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে তাদেরকে পুনর্বাসন ও শক্তিশালী করছে। ইউনুস সরকার কিছু আওয়ামী নেতাদের গ্রেপ্তার করলেও দুর্নীতিবাজ আওয়ামী নেতাদের সকল জমি-সম্পদ, মিল-কলকারখানা বাজেয়াপ্ত করছে না। বরং তারা সংস্কারের কথা বলে নিজেদের ক্ষমতা সুসংহত করতে আওয়ামী আমলের কিছু প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রদ-বদল করছে মাত্র এবং ধ্বসে পড়া রাষ্ট্রের মেরামত করছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র কোনো অগ্রসর ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না। তারা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, হিন্দুত্ববাদী ইসকন নিষিদ্ধের দাবি তুললেও জামাত-শিবির সহ ধর্মীয় ফ্যাসিবাদের নিষিদ্ধের দাবি তুলছে না। তারা বিপুল ছাত্র সমাজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে এই সরকারের অংশীদার হয়েছে। তারা বিরাজনীতিকরণেও ইন্ধন দিয়েছে বলে বক্তারা মন্তব্য করেন।