সাতক্ষীরায় হাসান ফুড এন্ড বেভারেজে কর্মসংস্থান হবে দুই হাজার মানুষের

রপ্তানিমুখী উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে হাসান ফুন্ড এন্ড বেভারেজ। উৎপাদনমুখী প্রতিষ্ঠানটি উদ্বোধন হলে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবে সাতক্ষীরার প্রায় দুই হাজার মানুষ। ফলে যেমন জেলার বেকারত্ব নিরসন হবে তেমনি বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের মাধ্যমে জাতীয় অর্থনীতিতেও ভূমিকা রাখবে প্রতিষ্ঠানটি। সরজমিনে দেখা যায়, সাতক্ষীরা সদরের লাবসা ইউনিয়নের বিনেরপোতায় শতকোটি টাকা ব্যয়ে হাসান ফুড এন্ড বেভারেজের তিন ইউনিটের কারখানা নির্মাণ জোরেশোরেই চলছে। এরই মধ্যে সমাপ্ত হয়েছে বেকারি পন্য উৎপাদনের জন্য অবকাঠামোগত নির্মাণ কাজ।

বিদেশ থেকে আমদানি করা মেশিনারিজ পৌছেছে সেই কারখানায়। যেগুলো চীন, পাকিস্তান ও ভারত থেকে আমদানি করা হয়েছে। চীনের টেকনিশিয়ানরা দেশে পৌছালেই শুরু হবে উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতি। প্রাথমিক ভাবে বেকারি পন্য দিয়ে উৎপাদন শুরু হলেও পর্যায়ক্রমে প্যাকেটজাত গুড়া মসলা, বোতলজাত পানি, বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস, সরিষার তেল ও মিষ্টির উৎপাদনে যাবে প্রতিষ্ঠানটি। যা পরবর্তীতে আরও বিস্তৃত হবে। হাসান ফুড এন্ড বেভারেজের ম্যানেজার (এডমিন এন্ড ফাইনান্স) মোঃ জয়নাল আবেদিনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, ‘স্থানীয় ভাবে উৎপাদিত কঁাচামাল সংগ্রহ করে উন্নতমানের পন্য উৎপাদন করাই হাসান ফুড এন্ড বেভারেজের মূল লক্ষ্য। তবে আমাদের প্রতিষ্ঠানটির কাঁচামাল স্থানীয় ভাবে উৎপাদন ও সংগ্রহ করা হলেও উৎপাদনের ৬০ ভাগ মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করা হবে। বাকি ৪০ ভাগ দেশে বিপনন হবে। উৎপাদন প্রক্রিয়ার সাথে যুক্ত থাকবে প্রায় ২ হাজার মানুষ। এর মধ্যে কারখানায় উৎপাদনের সাথে যুক্ত থাকবেন এক হাজার ও কঁাচামাল সংগ্রহ ও বিপননের সাথে যুক্ত হবেন আরও এক হাজার মানুষ। ফলে সাতক্ষীরার বেকার সমস্যা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী এ প্রতিষ্ঠান থেকে সাতক্ষীরা তথা দেশের মানুষ সামগ্রীকভাবে উপকৃত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।থ এক প্রশ্নের জবাবে মি. আবেদিন জানান, ‘রপ্তানিমুখী খাদ্য প্রক্রিয়াজতকরণ প্রতিষ্ঠানের সকল নিয়মনীতি পালন করেই উৎপাদনে যাবে হাসান ফুড এন্ড বেভারেজ। খুব শীঘ্রই উদ্বোধন ও উৎপাদনে যাবে হাসান ফুড এন্ড বেভারেজ।থ সাতক্ষীরা জেলার উদীয়মান তরুন উদ্যোক্তা আবু হাসানের ব্যবস্থাপনায় বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান সাতক্ষীরায় গড়ে উঠেছে। ইতোমধ্যেই সেসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন কয়েক হাজার মানুষ। উদ্বোধন ও নির্মানাধীন আছে আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।

কথা হলে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও হাসান গ্রুপের চেয়ারম্যান আবু হাসান জানান, ‘নিজ জেলার মানুষের জন্য কিছু করার মানষিকতা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সুবিধাজনক স্থানে করা গেলেও জেলার মানুষের কল্যাণের কথা চিন্তা করে সাতক্ষীরার মধ্যেই সকল প্রতিষ্ঠান স্থাপনের চেষ্টা করছি। এতে আমার জেলার মানুষ উপকৃত হবে। কোনরূপ বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভালো কাজ করতে গেলে বাধাতো আসবেই। তবে সেসব প্রতিবন্ধকতা মাড়িয়ে দেশের মানুষের কল্যানে এগিয়ে যেতে হবে।