যশোরে ই-কমার্সে নারী উদ্যোক্তাদের সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তির মাধ্যমে নারীদের ক্ষমতায়ন প্রকল্পের (২য় পর্যায়) উদ্যোগে আজ সোমবার সকালে জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক মোঃ রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শাহানা সারমিন।
সেমিনারে উল্লেখ করা হয়, দেশে ৭৯ লাখ নারী উদ্যোক্তা রয়েছেন। এর মধ্যে ৯৩ দশমিক ৬ শতাংশ হচ্ছে ছোট ব্যবসা এবং ৬ দশমিক ৪ শতাংশ মাঝারী ধরণের ব্যবসায় জড়িত। উদ্যোক্তাদের মধ্যে ফেইসবুক বিজনেস আছে ৫ লাখেরও বেশি এবং ই-কমার্স আছে প্রায় ২ হাজার নারী। বাংলাদেশের মোট শ্রম বাজারের প্রায় ৪ ভাগের এক ভাগই কাজ করছেন নারী উদ্যোক্তারা এবং তারা দেশের মোট রপ্তানি আয়ের প্রায় ৭৫-৮০ শতাংশ অর্জন করছেন। কিন্তু, নারীদের ২০ শতাংশ ছোট ব্যবসা শুরুর এক বছরের মধ্যেই হারিয়ে যান। এবং বাকি ৭০ শতাংশ পরবর্তী ৮ থেকে ১০ বছরের মধ্যেই হারিয়ে যান। টিকে থাকে কেবল ১০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা।
সেমিনারে বক্তারা বলেন, নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় ধরে রাখতে কর্মপরিবেশ তৈরি, নিরাপত্তা বিধান ও স্বল্প সুদে ঝামেলা বিহীন ব্যাংক ঋণ প্রদান করতে হবে। পাশাপাশি তাদের জন্য বাজার সৃষ্টিতে সরকারকে কাজ করতে হবে। তাহলে নারী উদ্যোক্তারা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করতে পারবে।
সেমিনারে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য আপা প্রকল্পের পরিচালক শাহনাজ বেগম নীনা, উপ প্রকল্প পরিচালক নাজিমুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) খান মাসুম বিল্লাহ, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আনিসুর রহমান প্রমুখ।
সেমিনারে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার নারী উদ্যোক্তা ও সরকারি বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।