যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খাটুয়াডাঙ্গা গ্রামে একটি ধানের চাতালঘর থেকে স্বরুপজান (৪৫) নামে এক নারীর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৯টার দিকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর নিহতের স্বামী, সতীনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পলাতক রয়েছেন। তবে কি কারণে এবং কারা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তা এখনো নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ।
মণিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নূর মোহাম্মদ গাজী জানান, নিহত স্বরুপজান চাতাল মালিক আব্দুর রশিদ মিন্টুর দ্বিতীয় স্ত্রী। মিন্টুর প্রথম স্ত্রী সুমা পারভীন ও দ্বিতীয় স্ত্রী স্বরুপজানের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কলহ চলছিল। ওই বিরোধের কারণে স্বরুপজান চাতালঘরের পাশে একটি ছোট ঘরে একা বসবাস করতেন এবং চাতালে কাজ করতেন।
রোববার রাতে স্বরুপজান প্রতিদিনের মতো তার ঘরে ঘুমাতে যান। সোমবার সকালে ঘুম থেকে না ওঠায় সতিনের মেয়ে ফাতেমা খাতুন (২৫) ঘরের দরজা খোলা দেখতে পান। ভিতরে প্রবেশ করে তিনি স্বরুপজানের উলঙ্গ অবস্থায় গলাকাটা লাশ দেখতে পান। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। পরে স্থানীয় ইউপি মেম্বারের মাধ্যমে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
ওসি নূর মোহাম্মদ গাজী আরও জানান, ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়ার আগেই নিহতের স্বামী আব্দুর রশিদ মিন্টু, সতীন সুমা পারভীনসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ এখনো পর্যন্ত কাউকে আটক করতে পারেনি। তদন্ত শুরু হয়েছে এবং হত্যাকাণ্ডের পেছনে পারিবারিক বিরোধসহ সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এদিকে নারকীয় এই হত্যাকাণ্ডে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। তবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, দ্রুততম সময়ের মধ্যে ঘটনার রহস্য উদঘাটন ও দোষীদের আইনের আওতায় আনার জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।