মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষন ও হত্যা মামলায় তৃতীয় দিনের মত স্বাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মামলায় গুরুত্বপূর্ণ ১০ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা মাগুরা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে। মঙ্গলবার সকালে ঝিনাইদহ জেলা কারাগার থেকে মাগুরায় আনা হয় হিটুশেখসহ সকল আসামীকে।
মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় মাগুরার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে স্বাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়। দুপুর ১ টায় শেষ হয় আদালতের কার্যক্রম। মঙ্গলবার শিশু আছিয়ার বোন, প্রতিবেশি, সহ ১০ জনের স্বাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। সাক্ষী প্রদান করেন শিশু আছিয়ার বোন হামিদা খাতুন, শিশু আছিয়াকে উদ্ধার করে হাসপাতালে আনা প্রতিবেশি জবেদা বেগম,মোঃ সাদ্দাম লস্কর, শিহাব শেখ, সাইফুল ইসলাম, হাসপাতালের পরিচ্ছন্নকর্মী আসাদুজ্জামান নবীন, মাদ্রাসার খাদেম জামাল মোল্লা, মাগুরা সদর থানার এএসআই এমদাদুল, ঢাকা সামরিক হাসপাতালের কর্মী রমজান আলী ও ঢাকা দক্ষীণযুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়ন। আগামীকাল বুধবার মাগুরা ও ফরিদপুর হাসপাতালের চিকিৎসকদের স্বাক্ষ্যগ্রহন করা হবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এ মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছেন আইনজীবী।
গত ৬ মার্চ মাগুরা সদরের নিজনান্দুয়ালী গ্রামে বোনের শ্বশুর হিটু শেখ তাকে ধর্ষণ করে হত্যার চেষ্টা করে। পরে চিকিসাধীন অবস্থায় ১৩ মার্চ রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শিশু আছিয়া মারা যায়। এ ঘটনায় শিশু আছিয়ার মা আয়েশা আক্তার বাদি হয়ে মামলা দায়ের করে। এ ঘটনাটি দেশ ব্যাপি আলোচনার সৃষ্টি করে। এ মামলায় ১৩ এপ্রিল পুলিশ চার্জশিট দাখিল করে। পরে ২৩ এপ্রিল অভিযোগ গঠনের মধ্যে দিয়ে বিচারকাজ শুরু হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এ্যাড. মনিরুল ইসলাম মুকুল জানান, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এ মামলার স্বাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।