পড়া না পারায় পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে মধ্যযুগীয় কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করেছেন নাসির উদ্দিন নামে একজন প্রধান শিক্ষক। তার অমানুষিক নির্যাতনে গুরুতর আহত অবস্থায় ওই ছাত্রীকে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে, গত বুধবার যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নওয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার যশোর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আশরাফুল আলম শিশুটিকে দেখতে হাসপাতালে যান। তিনি সাংবাদিকদের সামনে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন, অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আহত শিক্ষার্থীর মা আমেনা বেগম জানান, প্রতিদিনের ন্যায় তার মেয়ে নওয়ালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। পরে তিনি খবর পান পড়া না পারার কারণে প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন তার মেয়েকে তলপেটে তিনটি লাথি মেরে গুরুতর আহত করেছেন। এখবর পাওয়ার পর তিনি দ্রুত স্কুলে ছুটে যান এবং অচেতন অবস্থায় তার মেয়েকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এদিকে হাসপতালে কর্তব্যরত একজন চিকিৎসক জানান, মেয়েটি তলপেটে আঘাত প্রাপ্ত হওয়ার কারণে গোপনাঙ্গ সামান্য ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। মেয়েটির চিকিৎসা চলছে দ্রুত সুস্থ হয়ে যাবে। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। আহত শিক্ষার্থীর পিতা মনির হোসেন এব্যাপারে প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন। আহত শিক্ষার্থীর মা আমেনা বেগম প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করার কথা জানিয়েছেন।