যশোরের শার্শার বেলতলা আম বাজারে কথিত মানবধিকার কর্মী পরিচয় দিয়ে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে আসাদুজ্জামান আসাদসহ অজ্ঞাত ৩ টাউটের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় শনিবার (১০ মে) দুপুরে আবু সিদ্দিক নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে শার্শা থানায় টাউট আসাদুজ্জামান আসাদসহ অজ্ঞাতনামা আরোও ৩ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযুক্ত টাউট আসাদুজ্জামান আসাদ বাগআঁচড়া সাতমাইল গ্রামের মাওলানা নেছার উদ্দীনের ছেলে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলা কৃষি অধিদপ্তরের দেওয়া নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গত ৮ মে আমচাষি আবু ছিদ্দিক গোপাল ভোগ আম বিক্রয়ের উদ্দেশ্য শার্শার বেলতলা আমবাজারে ভ্যান যোগে নিয়ে আসছিলেন। এসময় অজ্ঞাত ৩ টাউটসহ অভিযুক্ত আসাদ নিজেকে মানবধিকার ও আজকের গোয়েন্দা সংবাদ নামে একটি অনিবন্ধিত অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে মোবাইল ফোনে আমের ভিডিও ধারণ করে বলে’ এ আম এখনো ভাংগার সময় হয়নি। তিনি একজন মানবাধিকার সংগঠনের অফিসার। তিনি ওসি, ইউএনও সকলকে ডেকে আম নষ্ট করার ব্যবস্থা করবেন বলে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে বিবাদি আবু ছিদ্দিক ভয়ে ৫ হাজার টাকা টাউট আসাদকে প্রদান করে। পরে এ বিষয়ে কাউকে কিছু বললে আবু ছিদ্দিককে ব্যবসা করতে দিবে না বলে চলে যায়।
এদিকে বেলতলা আম বাজারে সরেজমিনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কথিত মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিক পরিচয়দানকারী আসাদুজ্জামান আসাদ, সাবেক সেনা সদস্য মিলনের গোডাউনে থাকা আম ব্যবসায়ী আলামিনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা, তাজউদ্দিন আড়তে আম বিক্রয় করতে আসা চাষি সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা, আমের আড়তদার আতর আলীর ঘরের এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৩ হাজার টাকাসহ বিভিন্ন আম চাষি ও বেপারীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও এই টাউট আসাদের বিরুদ্ধে একটি মানবাধিকার সংগঠনের পরিচয়পত্র বানিয়ে দেওয়ার নাম করে পূর্বে একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগও রয়েছে। আর এ কারণে টাউট আসাদের নামে ওই সময় একাধিক প্রিন্ট পত্রিকায় বিভিন্ন শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল।
শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম. রবিউল ইসলাম জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।