ম্যাচ হেরে লিটনের যত অজুহাত

ডান হাত, বাম হাত আর অজুহাত। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ক্ষেত্রে প্রথম দুটি সেই অর্থে না চললেও তৃতীয়টি চলে বেশ সাবলীলভাবেই। আর ফলাফল ম্যাচশেষে মাথা নিচু করে মাঠছাড়া। আর দর্শকদের হাসি ও সমালোচনার খোরাক হওয়া- এই কদিনে এটাই যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রতিচ্ছবি। আর ম্যাচশেষের প্রতিক্রিয়ায় সেই মুখস্থ বুলি- আমাদের উন্নতি করতে হবে। অধিনায়ক লিটন দাস এর বেশি আর কিইবা বলবেন। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে কোনোরকম প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পেরে তিনিও অজুহাতের ডালা খুলে বসেছেন।

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজ হারার পর পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নেমে ছন্নছাড়া বোলিংয়ে নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পাকিস্তানের দেওয়া ২০২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশকে কখনোই মনে হয়নি তারা ম্যাচটি জিততে পারে বা জয়ের জন্য খেলছে। বরং মোটা দাগে ক্রিকেটারদের শরীরী ভাষা ছিল হারের ব্যবধান কমানোর। যেন কোনো বৈশ্বিক টুর্নামেন্ট খেলছে, সেখানে নেট রান রেটের হিসাব আসবে। তাই হারার আগে ধরে খেলে হারের ব্যবধান কমিয়ে নেওয়াটাই যথার্থ।

শেষ রক্ষা হয়নি তাতেও। অলআউট হওয়া ঠেকানো যায়নি। হারের ব্যবধানটাও কমানো যায়নি সেই অর্থে। বাংলাদেশ ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে হেরেছে ৩৭ রানের বড় ব্যবধানে। আর ম্যাচশেষে লিটন সামনে এনেছেন সেই চেনা যত অজুহাত।

ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে লিটন বলেন, ‘হ্যাঁ অবশ্যই পুরো ম্যাচেই বোলিং-ব্যাটিং-ফিল্ডিং ভালো করিনি আমরা। আমাদের ভালোভাবে কামব্যাক করতে হবে, দুই ম্যাচ বাকি আছে। অবশ্যই ধারাবাহিকতা লাগবে।’

উন্নতির গল্প শুনিয়ে লিটন বলেন, ‘শুধু ব্যাটিং, বোলিং নয়, ফিল্ডিংও ভালো করতে হবে। এখন আমরা ভালো ফিল্ডিং করছি না। ২০০ চেজ করার মতো ছিল এই মাঠে। অনেক দ্রুতগতির মাঠ। উইকেট ব্যাটিংসহায়ক ছিল। ভালো ব্যাটিং করিনি আমরা। সেখানে আমাদের কামব্যাক করতে হবে।’

তবে এত খারাপের মাঝেও জাকের আলীর ২০ বলে করা ৩৬ রানের ইনিংসের প্রশংসা করেছেন লিটন। তিনি বলেন, ‘জাকের আলী (অনিক) গত এক বছর ভালো করছে। গুরুত্বপূর্ণ প্লেয়ার সে। একজন ম্যাচ জেতাতে পারবে না। সবাইকেই অবদান রাখতে হবে। আমার মনে হয় মানসিকভাবে আমাদের চিন্তা করতে হবে। ক্রিকেট কেবল অনুশীলনের ব্যাপার নয়; মানসিক চিন্তা করে মাঠে অ্যাপ্লাই করতে হবে।’