বিশ্বসেরা ভারতকে হারাতে যে ফন্দি আঁটছে বাংলাদেশ

শ্রীলংকাকে হারানোর পর বাংলাদেশ তিনদিন বিশ্রাম পেয়েছে। এটাই আবার কাল হয়ে দাঁড়াচ্ছে লিটন দাসদের জন্য। টানা দুদিন দুটি বড় ম্যাচ। দুবাইয়ে ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রায় ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুটি ম্যাচ খেলার ধকল সহ্য করার চ্যালেঞ্জ তো আছেই। এশিয়া কাপের সুপার ফোরের সূচি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টেরও। আপাতত আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে কিছু ভাবছে না টাইগাররা। টুর্নামেন্টের সবচেয়ে বড় দল ভারতকে আজ হারানোর লক্ষ্য টাইগারদের। বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানালেন, ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের আগে যে হাইপ তৈরি হয় সেটা থাকা উচিত। তাদের হারানোর আত্মবিশ্বাস বাংলাদেশ দলের আছে। আজ দুবাইয়ে বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় মুখোমুখি হবে দুদল।

শক্তির বিচারে ভারত অনেক এগিয়ে থাকলেও সেটা মানতে রাজি নন ফিল সিমন্স। ম্যাচের আগে তিনি বলেন, ‘প্রতিটি দলেরই ভারতকে হারানোর সামর্থ্য আছে। পুরোটা আসলে ওই দিনের খেলার ওপর নির্ভর করে। ভারত আগে কী করেছে সেটা বড় বিষয় নয়। বুধবারে তারা কী করে সেটাই দেখার বিষয়। ম্যাচের সাড়ে তিন ঘণ্টার ওপর সবকিছু নির্ভর করে। যতটা সম্ভব চেষ্টা করব নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে। পাশাপাশি ভারতকে ভুল করতে বাধ্য করব। এভাবেই আমরা ম্যাচ জিততে পারি।’

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচে ছোট ছোট সুযোগগুলোও কাজে লাগাতে হবে। নিখুঁত ম্যাচ খেলে শ্রীলংকার মতো ভারতকে হারাতে চান সিমন্স। তিনি বলেন, ‘বিশ্বাস রাখতেই হবে। আমরা বসে এসব নিয়ে নিজেরা কথা বলেছি। সবার মধ্যে ওই বিশ্বাস আছে, যে আমাদের সুযোগ আছে। আমরা যদি ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পাই তাহলে সেটা ধরে রাখতে হবে। সেগুলো কাজে লাগাতে হবে। মোমেন্টাম ধরে রাখতে পারলে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার সুযোগ আমাদের আছে।’

সুপার ফোরে একমাত্র বাংলাদেশই টানা দুদিনে দুটি ম্যাচ খেলবে। বাকিরা অন্তত একদিনের বিশ্রাম পাবে। এ নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে সিমন্স বলেন, ‘টানা দুদিনে দুটি ম্যাচ খেলা খুবই কঠিন। এটা আদর্শ কিছু না। কিন্তু আমরা প্রস্তুত আছি। সত্যি বলতে অনুশীলনে আমরা কঠোর পরিশ্রম করেছি। ছেলেরা পরপর ম্যাচ খেলার জন্য যথেষ্ট ফিট। তবে কোনো দলের জন্যই ব্যাক টু ব্যাক ম্যাচ খেলা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। এটা মানুষের ধারণার চেয়েও কঠিন।’ দুবাইয়ে টস বড় পার্থক্য গড়ে দেয়। সিমন্স অবশ্য কোনো পার্থক্য দেখছেন না। ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচের হাইপ নিয়ে সিমন্স বলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই হাইপ থাকবে। বিশেষ করে ভারতের ম্যাচে হাইপ থাকবেই। কারণ তারা বিশ্বের এক নম্বর দল। আমরা শুধু সেই হাইপের স্রোতে গা ভাসাতে চাই। আমরা ম্যাচটা উপভোগ করতে যাচ্ছি। আমরা এভাবেই মাঠে নামার চেষ্টা করছি। ম্যাচটি উপভোগ করার পাশাপাশি নিজেদের সেরাটা দিতে চাই।’