সংবাদ প্রকাশের পর শার্শার নীলকুঠি জঙ্গল পার্কে দেহ ব্যবসা চলছে নয়া কৌশলে

nilkuthi jongolবেনাপোল প্রতিনিধি: সম্প্রতি ওয়ান নিউজ বিডিতে “শার্শার নীলকুঠি জঙ্গল পার্কে চলছে অবাধে দেহ ব্যবসা” শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর নতুন কৌশল অবলম্বন করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে পার্ক কতৃপক্ষ। পুলিশ অথবা গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যদের প্রবেশের আগেই খবর পাওয়ার জন্য উলাশী বাজার থেকে পার্ক পর্যন্ত ছদ্মবেশে লোক রাখা হয়েছে।

উলাশী বাজারের জনৈক ব্যবসায়ী বলেন, যেখানে অবৈধ দেহ ও মাদক ব্যবসা হয় সেখানে পুলিশ বা গোয়েন্দা সংস্থার লোক প্রবেশ করার ভয়ে পথে পথে নজরদারি বসিয়েছে পার্কের মালিক মিলন। পথে অপরিচিত লোক দেখলে মোবাইল ফোনে খবর দেওয়া হয় পার্কের পেছন দরজা দিয়ে খরিদ্দারদের বের করে দেওয়ার জন্য।

জানা যায়, পার্কে ছোট ছোট ৫ টি রংমহল ঘর রয়েছে। সেখানেই চলে মাদক ও দেহ ব্যবসা।

স্থানীয় আনোয়ার হোসেন বলেন- পার্কের ভিতর আলী হোসেন নামে একজন খাবারের হোটেল ব্যবসা করে, হোটেলের পেছনেই চলে দেহ ও মাদক ব্যবসা। মতিয়ার রহমানের চা দোকানের সাথে থাকা রুমেও চলে অবৈধ ব্যবসা। পার্কের প্রচিরের সাথে তোতা মিয়ার বাড়ি ও দোকান, সেখানে গ্লাস দিয়ে ঘেরা ঘরে দেহ ব্যবসা চলে। এছাড়া পার্কের পশ্চিম পাশে বড় মাটির ঘরেও এ ব্যবসা চলে। এসব ব্যবসা সার্বক্ষনিক দেখাশুনা করে পার্কের ম্যানেজার শরিফ হোসন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলকার জনৈক ব্যাক্তি বলেন, উঠতি বয়সের স্কুল-কলেজ পড়ুয়া ছেলে-মেয়েদের রুম ভাড়া ঘন্টায় ১০০০ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়। আর বাহির থেকে আসা সুন্দরী ললনা যদি কাউকে দেয় তার নিকট থেকে ১ থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়।

বেনাপোলের কাগজ পুকুর গ্রামের সেলিম বলেন, পার্কে মাঝে মাঝে যশোর থেকে রিয়া নামের এক সুন্দরী মেয়ে আসে। রিয়া যেদিন পার্কে আসে সেদিন অন্য পতিতাদের ব্যবসা করা কঠিন হয়ে পড়ে। রিয়ার দিকে ঝুকে পড়ে খরিদ্দাররা। ঘরভাড়া বাদে প্রতিজনের নিকট থেকে একবার মেলামেশায় রিয়ার বিল ১০০০ হাজার টাকা।

জানা যায়, এর আগে শার্শা উপজেলার বাগআচঁড়ায় একটি আবাসিক হোটেল খুলে অবৈধ দেহ ব্যবসা করত এ পার্কের মালিক মিলন। প্রশাসনের টনক নড়াতে সেখানে সুবিধা করতে না পেরে নীলকুঠি জঙ্গল নামক পার্ক করে সেখানে এ ব্যবসা দেদারছে রোজার মাসেও চালিয়ে যাচ্ছে।

স্থানীয়রা বলেন, মিলন একজন শীর্ষ নেতার অনুসারি হওয়ায় নীলকুঠি জঙ্গল পার্কের দেহ ব্যবসার কথা জানলেও ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন। আর ভয়ে প্রতিবাদ করতে পারছে না গ্রামের মানুষ।