বিআরডিবি’র কর্মকর্তা আব্দুস সবুর বলেন, ‘মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ড থেকে ছেড়ে আসা এইচ আর ট্রাভেলসের একটি গাড়ি মণিরামপুর হয়ে সাতক্ষীরার শ্যামনগরে যাওয়ার কথা ছিল। গাড়িতে রাজগঞ্জের কয়েক যাত্রী ছিলেন। যশোরে আসার পর তারা পুলেরহাট হয়ে রাজগঞ্জ যাওয়ার জন্য চালককে অনুরোধ করেন। যাত্রীদের অনুরোধে চালক ওই পথে আসছিলেন। তখন রাত দুইটা। পথে কোদলাপাড়া-গাঙ্গুলিয়া ফাঁকা মাঠে আসার পর ৫-৭ জন ডাকাত রাস্তায় গাছের গুঁড়ি ও মাছের পিকআপ আড় করে দিয়ে গাড়ির গতিরোধ করে। গাড়ি থামার পর রামদা নিয়ে ৫-৬ জন ভেতরে ঢুকে যাত্রীদের মারধর করে সব কেড়ে নেয়।
আব্দুস সবুর বলেন, আমার কাছে ১৮-২০ হাজার টাকা ছিল। ডাকাতদের সাথে টানাহেঁচড়া করায় ওরা রামদা দিয়ে আমার কপালে ও মাথায় আঘাত করে টাকা ছিনিয়ে নেয়। ডাকাতরা যাত্রীদের যার কাছে যা ছিল সব ছিনিয়ে নিয়েছে। তার মধ্যে এক ব্যবসায়ীর একলাখ টাকা এক নারীর স্বর্ণালংকার ছিল।
ওই যাত্রী অভিযোগ করেন, রাস্তার কোথায়ও পুলিশ টহল দেখা যায়নি।
জানতে চাইলে খেদাপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই আইনুদ্দিন বলেন, পরিবহনের কারো সাথে আমাদের কথা হয়নি। ডাকাতির ঘটনা যাত্রীরা খেদাপাড়া বাজারের নাইটগার্ডদের কাছে বলেছে। তাদের কাছ থেকে শুনে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। সেখানে কাউকে পাইনি।
মণিরামপুর থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) এসএম এনামুল হক বলেন, পরিবহন ডাকাতির কথা শুনেছি। এই বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।