সংসদে ইউপি সচিবদের বেতন ১০ম গ্রেড বেতনসহ পেনশনের দাবি এমপি মনিরের

monirনিজস্ব প্রতিবেদক: দেশের সকল ইউনিয়ন পরিষদের সচিবদের বেতনস্কেল ১৪তম গ্রেডের পরিবর্তে ১০ম গ্রেড প্রদানসহ পেনশনের ব্যবস্থা করার জোর দাবি জানিয়েছেন যশোর-২ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মনির। বুধবার সকালে দশম জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশনের কার্যপ্রণালী বিধির ৭১ বিধি অনুযায়ী মাননীয় স্পিকারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে তিনি এ দাবি জানান।

এ সময় তিনি ইউনিয়ন পরিষদের ইতিহাস টেনে বলেন, ব্রিটিশ আমলে ১৮৭০ সালে চৌকিদারি পঞ্চায়েত এখন ইউনিয়ন পরিষদ। এই প্রতিষ্ঠান বর্তমানে ৩৮টি মন্ত্রণালয়ের কার্যাবলী সম্পাদন করে থাকে। এই গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে একমাত্র সাচিবিক পদ ইউপি সচিব। যারা কখনও ছুটির মুখ দেখতে পারেন না। দিনরাত নিরলসভাবে পরিশ্রম করে মাস শেষে বেতনের অনিশ্চয়তা এবং অন্যান্য সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় অবসরকালীন সময়ে পেনশনে ব্যবস্থা করা হয় না।

তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ইউপি সচিবদের জাতীয় বেতন স্কেল প্রদান করেন ও পরবর্তীতে জাতীয়করণের ঘোষণা দেন। কিন্তু জাতির দুর্ভাগ্য ৭৫’ এর ১৫ই আগস্ট জাতির জনকের স্বপরিবারে হত্যার কারণে ভাগ্যাহত ইউপি সচিবদের জাতীয়করণের আশা আজও পূরণ হয়নি।

মনিরুল ইসলাম বলেন, প্রথম মেয়াদে যখন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তখন এই ইউপি সচিবদের বেতনের অংশ ৫০ থেকে ৭৫ শতাংশ করেন। ব্রিটিশ আমলে যে প্রতিষ্ঠান হয়েছে সেই প্রতিষ্ঠান ব্রিটিশ সরকার পারেনি, পাকিস্তান সরকার পারেনি, বাংলাদেশের অন্য কোনো সরকার পারেনি। জাতির জনক শুরু করেছিলেন আর জাতির জনকের কন্যা তাদের সম্মান বৃদ্ধি করেছেন।

এ সময় যশোরের এই সংসদ সদস্য জনসাধারণের দিক বিবেচনা করে শেখ হাসিনার নিকট বঙ্গবন্ধু কর্ত্তৃক ঘোষিত অসমাপ্ত কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে ইউপি সচিবদের জাতীয় বেতন স্কেলের ১৪তম গ্রেডের পরিবর্তে ১০ম গ্রেড প্রদানসহ বেতন ভাতাদির সকল আর্থিক সুবিধাদী অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ন্যায় সরকারি কোষাগার থেকে প্রদানসহ পেনশনের ব্যবস্থা করার দাবি জানান।

এর আগে এক সমাপূরক প্রশ্নে চৌগাছা-ঝিকরগাছার তাহেরপুর থেকে নওয়ালী পর্যন্ত দীর্ঘ ৭৫ কিমি কপোতাক্ষ নদ দ্বিতীয় ফেজে খনন করার জোর দাবি জানান এই সংসদ সদস্য।