রাজশাহীতে স্থায়ী রূপ পাচ্ছে বায়ান্নর প্রথম শহীদ মিনার

রাজশাহী প্রতিনিধি: রাজশাহী কলেজ হোস্টেলে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় নির্মিত শহীদ মিনারটি স্থায়ী রূপ পাচ্ছে। বলা হয়ে থাকে তৎকালীন কাদা-মাটি ও ইট-সুরকি দিয়ে তৈরি দেশের প্রথম শহীদ মিনার এটি। যদিও জাতীয়ভাবে এখনো তার স্বীকৃতি মিলেনি।

rajshahi first shahid minarসেই সময় শহীদ মিনারটি তৈরির পরপরই ভাষা আন্দোলনের বিরোধীতাকারীরা তা ভেঙে গুড়িয়ে দেয়।
ভাষা আন্দেলনের ৬৬ বছর পার হতে চললেও সেখানে স্থায়ী শহীদ মিনার নির্মাণের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। অবশেষে সেই কাজটিই করছেন রাজশাহী সদর আসসের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা। তাঁর ব্যক্তিগত উদ্যোগ এবং নিজস্ব প্রকল্প ও নিজস্ব তহবিল থেকে এই শহীদ মিনারটি নির্মাণ করা হচ্ছে।

সুদৃশ্য এই শহীদ মিনারটির উচ্চতা হবে মাটি থেকে ৫৫ ফিট। তিনটি পিলারের মধ্যে বড় পিলারটির উচ্চতা হবে ৫৫ ফিট। এটি হবে সিলভার কালারের। মধ্যম ও ছোট পিলারের উচ্চতা হবে যথাক্রমে ৪০ ফিট ও ৩০ ফিট। মধ্যম ও ছোট পিলার দুইটি হবে পোড়ামাটির রঙে। শহীদ মিনারে বেদীতে ইতিহাস ও ঐতিহ্য লিপিবদ্ধ থাকবে।
এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হচ্ছে ৫০ লাখ টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক)।
রাসিকের প্রধান প্রকৌশলী আশরাফুল হক জানান, চলতি মাসের শেষ নাগাদ এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে। আগামী ৩ মাসের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ শেষ করা হবে।

এ বিষয়ে সদর আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, রাজশাহী নগরীর জন্য আমি ব্যক্তিগত উদ্যোগে ও আমার নির্বাচনী এলাকার উন্নয়ন প্রকল্পের অংশ হিসেবে ১৬টি প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছি। প্রকল্পগুলোতে মোট ব্যয় হবে ৭ কোটি টাকা।

এরই অংশ হিসেবে রাজশাহী কলেজ হোস্টেলে ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের সময় নির্মিত শহীদ মিনার নির্মিত হচ্ছে। এতোদিন এই উদ্যোগটি কেউ নেয়নি। এটি আরো অনেক আগে হওয়া উচিত ছিল। এটি আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের অন্যতম দলিল হিসেবে পরিগণিত হবে।