রোহিঙ্গা ও স্থানীয়দের বৈশ্বিক সহায়তার আহ্বান জাতিসংঘের

jatisongo- un logoডেস্ক রিপোর্ট: মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত প্রায় ১১ লাখ রোহিঙ্গা এবং তাদের আশ্রয়দানকারী কক্সবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সহায়তা ও সংহতির আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ। সংস্থাটির শরনার্থী বিষয়ক হাইকমিশন ইউএনএইচসিআর এর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি এ আহ্বান জানান।

সংস্থাটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার জানানো হয়- বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জন্য গঠিত জাতিসংঘের যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনার মাত্র ২৬ শতাংশ তহবিলে জমা পড়েছে। বাকীটা এখনও অনিশ্চিত। জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের বাংলাদেশ সফরের আগের দিনে ঢাকায় আসা হাইকমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বুধবার ফিরে যান। সফরকালে তিনি উদ্বাস্তু সমস্যায় সমর্থন জানাতে জাতিসংঘ মহাসচিবসহ বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম ও জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিলের নির্বাহী পরিচালক নাতালিয়া কানেমের সঙ্গে কক্সবাজার রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশ সফর বিষয়ে বৃহস্পতিবার হাই কমিশনার ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি বলেন, বিশ্বে যখন আশ্রয়প্রার্থী মানুষের মুখের ওপর সীমান্ত বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে তখন বাংলাদেশ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের জন্য উদারভাবে তাদের সীমান্ত খোলা রেখেছে। বিশ্বের অন্য অনেক দেশের জন্য এটা মানবিকতার এক শিক্ষা, যারা ঠিক বিপরীত কাজ করে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- সফরকারী প্রতিনিধিদলটি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের দেখতে সোমবার কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে বিশ্বের সবচেয়ে বড় শরনার্থী শিবির এলাকায় যান। তারা ইউএনএইচসিআরের সহযোগিতায় পরিচালিত একটি ট্রানজিট সেন্টারে নবাগত উদ্বাস্তুদের সঙ্গে কথা বলেন। ওই কেন্দ্র বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে ৫০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রহণ করছে। এছাড়া তারা একটি নারীবান্ধব এলাকা, একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং নতুন করে প্রস্তুত করা একটি এলাকা পরিদর্শন করেন। ভূমিধস ও বন্যার চরম ঝুঁকি থেকে রক্ষার জন্য সম্প্রতি ওই জায়গায় কয়েকশ রোহিঙ্গাকে স্থানান্তর করা হয়েছে।