বর্ণাঢ্য আয়োজনে রাবি’র ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত

রাবি প্রতিনিধি: ‘এ শুভলগনে জাগুক গগনে অমৃতবায়ু’ স্লোগানে গৌরবের ৬৫ বছর’ শীর্ষক নানা উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ৬৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে শুক্রবার সকাল ৯টায় প্রশাসনভবন চত্বরে সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যেমে উদ্ধোধন ঘোষণা করেন।

উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানের পরে উপাচার্য প্রশাসন ভবনের সামনে একটি নাগকেশর গাছের চারা রোপণ করেন। এরপর এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। শোভাযাত্রা শেষে সিনেটভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে উপাচার্য সংক্ষিপ্ত বক্তৃতা করেন।

উপাচার্য তার বক্তিতায় বলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম শীর্ষ উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কেন্দ্র। জাতির বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান আছে। জাতির জনকের অন্যতম স্বপ্ন ছিল একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ যেখানে কোনো ভেদাভেদ-বৈষম্য থাকবে না। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তাঁর সে স্বপ্ন বাস্তবায়নে অন্যতম সারথী।

তিনি আরো বলেন, শুরু থেকেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষার্থীদের সর্বাঙ্গীন শিক্ষা ও জ্ঞানের আলোর দিশা দিয়েছে। সেই আলোয় আলোকিত শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা দেশবিদেশে গৌরবময় ভূমিকা পালন করেছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সাফল্য ও গৌরবদীপ্ত ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে। এজন্য প্রয়োজন উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার প্রতি একনিষ্ঠ আগ্রহ। সকলের সম্মিলিত প্রয়াসে অচিরেই রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এতদঞ্চলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে পরিণত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

এ সময় তিনি চলমান কোটা আন্দোলন নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বলেন, দুঃখের বিষয় দেশ যখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে তখন কোটা আন্দোলনের নামে একদল সুযোগসন্ধানী দেশে বিশৃংখলা সৃষ্টিতে লিপ্ত হয়েছে। তার সাথে যুক্ত হয়ে কিছু তথাকথিত শিক্ষক আন্দোলনকারীদের উৎসাহিত করছে এবং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকেও কলুষিত করছে। উপাচার্য সকলকে এ বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানান।

উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অন্যতম সংগঠক মরহুম মাদার বখশ্সহ সংশ্লিষ্ট সকলের অবদান শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন।

এ সময় সেখানে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদ্যাপন কমিটির সভাপতি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ, রেজিস্ট্রার অধ্যপক এম এ বারী, প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান, সিন্ডিকেট সদস্য, অনুষদ অধিকর্তা, হল প্রাধ্যক্ষ, বিভাগীয় সভাপতিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।