১২ বছর পর আবার ফাইনালে ফ্রান্স

স্পোর্টস ডেস্ক: টুর্নামেন্টের ‘ডার্ক হর্স’ বেলজিয়ামকে হারিয়ে ১২ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ফ্রান্স। মঙ্গলবার সেন্ট পিটার্সবার্গে বিশ্বকাপের প্রথম সেমি ফাইনালে বেলজিয়ামকে ১-০ গোলে হারিয়েছে দিদিয়ে দেশমের শিষ্যরা। ফ্রান্সের হয়ে জয় সূচক গোলটি করেছেন স্যামুয়েল উমতিতি।

ফরাসিরা প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনালের উঠেছিল ১৯৯৮ সালে। সেবার ব্রাজিলকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতেছিল তারা। দ্বিতীয়বার ২০০৬ সালে ফাইনালে ইতালির কাছে হার। রাশিয়ার বিশ্বকাপে বেলজিয়ামকে হারিয়ে তৃতীয়বারের মতো ফাইনালে উঠল তারা। ১৫ জুলাই লুঝনিকি স্টেডিয়ামে তাদের প্রতিপক্ষ হবে ইংল্যান্ড অথবা ক্রোয়েশিয়া।

এবারের আসরে তরুণ তারকা সমৃদ্ধ একটি দল নিয়ে গিয়েছিলেন ১৯৯৮ সালের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক দিদিয়ে দেশম। কিলিয়ান এমবাপে, আঁতোয়া গ্রিজমান, পল পগবাদের সমন্বয়ে গঠিত দলটি এবারের বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দল। কিন্তু ফরাসিরা ফেভারিটদের বধ্যভূমি রাশিয়ায় ঠিকই নিজেদের সাফল্য বজায় রেখে উঠে গেল ফাইনালে। আর বিদায় নিল এবারের বিশ্বকাপের চমক জাগানো দল বেলজিয়াম।

এদিন প্রতিটি বিভাগেই নিজেদের সেরাটা খেলেছে ফ্রান্স। গ্রিজমানের একের পর এক সুযোগ সৃষ্টি, এমবাপের গতি, কিংবা মধ্যমাঠে পগবার দীপ্ত পদচারণায় মুখরিত ছিল সেন্ট পিটার্সবার্গের মাঠ।

যদিও এদিন শুরু থেকে বল দখলে নিয়ে খেলেয়ে বেলজিয়ামই। গোলের সুযোগও পেয়েছিল তারাই আগে। দলটি হয়ে প্রথম গোলের সুযোগ তৈরি করেন কেভিন ডি ব্রুইন। ১৫তম মিনিটে ডি ব্রুইনের পাসে ডি-বক্স থেকে ইডেন হ্যাজার্ডের কোনাকুনি শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।

এর পরের মিনিটে আবারও ডি-বক্স থেকে জোরালো শট নিয়েছিলেন হ্যাজার্ড। ফরাসি ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানের মাথায় লেগে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়।

২২তম মিনিটে টবি অ্যালডারউইয়ারল্ডে শট ঠেকিয়ে দিয়ে ফ্রান্সকে রক্ষা করেন হুগো লরিস। বেলজিয়ামের গোলকিপার থিবাত কর্তোয়াও এদিন ফরাসিতে সামনে দেওয়াল হয়ে দাঁড়ান। ৩৯তম মিনিটে বেনজামিন পাভার্দে কোনাকুনি একটি শট রুখে দেন তিনি। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হয় গোলশূন্য অবস্থায়।

দ্বিতীয়ার্ধে ফিরেও বেলজিয়াম আধিপত্য নিয়ে খেলে। কিন্তু এসময় প্রথম গোলের সুযোগ পেয়েই তা কাজে লাগায় ফরাসিরা। ম্যাচের ৫১ মিনিটে ফ্রান্সকে কাঙ্ক্ষিত গোলটি এনে দেন স্যামুয়েল উমতিতি। গ্রিজমানের শট থেকে পাওয়া বল আলতো হেডে বেলজিয়ামের জালে জড়ান বার্সেলোনার এই তারকা।

এরপর দুই দলই গোলের বেশ কিছু সুযোগ সৃষ্টি করেছিল। কিন্তু সাফল্যের মুখ আরো কেউ দেখেনি। ফলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে ফরাসিরা।