বগুড়ায় ভুল চিকিৎসায় শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

বগুড়া : বগুড়া শহরের বেসরকারি এক ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল চিকিৎসায় সাকিব হাসান (১৩) নামে এক স্কুলছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিকের মালিক ও কর্মকর্তারা পলাতক রয়েছেন।

বুধবার রাত ৯টার দিকে শহরের সাতমাথা হয়ে শেরপুর রোডের সাতানী বাড়ি সংলগ্ন ডলফিন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত সাকিব হাসান শহরের ফুলদীঘি পূর্বপাড়ার আব্দুল আজিজ লিটনের ছেলে এবং শহরের ফয়জুল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি-তদন্ত) কামরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমক) হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাক্ষেপে দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিহতের বাবা আব্দুল আজিজ লিটন জানান, তার ছেলে সাকিব হাসান পেটের ব্যাথায় ভুগছিলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার পেটে অ্যাপেন্ডিসাইটিস ধরা পড়ে। পরে এক প্রতিবেশীর পরামর্শে বুধবার বিকেলে ছেলেকে তিনি অস্ত্রোপচারের জন্য ওই ক্লিনিকে ভর্তি করান। সে অনুযায়ী রাত ৮টার দিকে ছেলেকে ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে নেয়া হয়।

ডা. এ.কে. পাল ছেলেকে অপারেশন করেন। অপারেশন থিয়েটার থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিটে ছেলেকে বের করা হয়। তখনই ছেলের দেহ নিথর মনে হয়। এভাবে কিছু সময় কেটে যাওয়ার পর তিনি ছেলেকে নিয়ে শহরের কানছগাড়ী এলাকায় অবস্থিত আরেকটি ক্লিনিকে নিয়ে যান। সেখানে নেয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার ছেলেকে মৃত ঘোষণা করেন। সেখান থেকে ছেলেকে নিয়ে আবার ডলফিন ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ফেরেন।

আব্দুল আজিজ লিটন ও মা পান্না আকতার অভিযোগ করে বলেন, চিকিৎসকের ভুলের কারণে তাদের ছেলের মৃত্যু হয়েছে। তারা ছেলে হত্যার বিচার চান। এ ঘটনায় তারা সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলেও জানান।

এদিকে ঘটনার পর থেকেই ক্লিনিকের মালিক জন মণ্ডল ও কর্মকর্তারা পলাতক থাকায় এ ব্যাপারে তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। পাশাপাশি বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করেও অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. এ.কে. পালের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।