যবিপ্রবির ১২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

JSTUস্টাফ রিপোর্টার: পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনের অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ১২ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে চার জনকে দুই বছর এবং অন্য আট জনকে এক বছরের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। যবিপ্রবি জনসংযোগ কর্মকর্তা আবদুর রশিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।

শনিবার যবিপ্রবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এক্সামিনেশন ডিসিপ্লিন কমিটি’র সভায় তাদের বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে গত ১৬ জুলাই ১০ সদস্য-বিশিষ্ট ওই কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।

‘এক্সামিনেশন ডিসিপ্লিন কমিটি’র সভায়- বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নিলয় চন্দ্র মন্ডল, মো: রাফিউর রহমান অপূর্ব ও আদনান আহমেদ প্রান্তকে এক বছরের জন্য; পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আনাস আল হোসাইনকে দুই বছরের জন্য ও একই বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো: আরাফাত খানকে এক বছরের জন্য; পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো: বারিউল হক মুবীনকে এক বছরের জন্য; গণিত বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো: তোফায়েল প্রধানকে এক বছরের জন্য; পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো: আক্তার হোসেনকে দুই বছরের জন্য; কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সুশান্ত কুমার দাশ ও মোস্তাফিজুর রহমানকে দুই বছরের জন্য এবং শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাসিম রেজা ইবনে মিওন ও মো: সোহেল রানাকে এক বছরের জন্য সকল একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত অধিকাংশ শিক্ষার্থী বাইরে থেকে লিখে নিয়ে পরীক্ষার হলে আসেন এবং উত্তরপত্রে লেখার সময় ইনভিজিলেটর কর্তৃক হাতে-নাতে ধরা পড়েন। এ ছাড়া তারা মুঠোফোনে উত্তর ইমেজ ও পিডিএফ আকারে নিয়ে আসেন এবং মুঠোফোনে দেখে দেখে উত্তর লেখার সময় ইনভিজিলেটর কর্তৃক হাতে-নাতে ধরা পড়েন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এক্সামিনেশন ডিসিপ্লিন অর্ডিন্যান্স’-এর বিভিন্ন ধারা ভঙ্গ করায়, অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের এই ব্যবস্থা নেওয়া হলো। গত এপ্রিল মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২টি বিভাগে প্রথমবারের মতো একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সময়ে অনুষ্ঠিত পরীক্ষায় অসাদুপায় অবলম্বনের এসব ঘটনা ঘটে।

এ ছাড়া ‘এক্সামিনেশন ডিসিপ্লিন কমিটি’র সভায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অধিভুক্ত ঝিনাইদহ সরকারি ভেটেরিনারি কলেজের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো: মাজেদুল হক, আশরাফী আলম আন্নী ও লুবান মাহফুজের খঅচ-৩০১ কোর্সটির পরীক্ষা বাতিল এবং ভবিষ্যতে যাতে অসাদুপায় অবলম্বনের মতো অপরাধ না করে তার জন্য সতর্ক করা হয়।