রাবিতে লিখিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা ২২-২৩ অক্টোবর

রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার পদ্ধতিতে আবারও বেশ কয়েকটি পরিবর্তন এনেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি উপ-কমিটির দ্বিতীয় সভায় ভর্তি পরীক্ষার তারিখ, আবেদন যোগ্যতা, ইউনিট পুনর্বিন্যাসসহ বেশকিছু সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

এদিন বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ভর্তি কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে। সেই সভায় এসব সিদ্ধান্তের কিছু পরিবর্তনও আসতে পারে।

এর আগে ৫ জুলাই অনুষ্ঠিত ভর্তি উপ-কমিটির প্রথম সভায় এমসিকিউ’র পরিবর্তে ফলাফলের ভিত্তিতে প্রতি ইউনিটে ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর ১০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এসব সিদ্ধান্ত দ্বিতীয় সভায় বহাল রাখা হয়েছে।

প্রথম সভায় চারটি ইউনিটে পরীক্ষা নেওয়ার কথা থাকলেও দ্বিতীয় সভায় তা বাড়িয়ে পাঁচটি ইউনিট করা হয়েছে জানিয়ে অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা বলেন, ভর্তি উপ-কমিটির দ্বিতীয় সভায় দুই দিনে পাঁচটি ইউনিটে বিভক্ত করে আবেদনকারীদের পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। ‘এ’, ‘বি’, ‘সি’, ‘ডি’, ও ‘ই’ ইউনিটে ১০০ নম্বরের এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে দেড় ঘণ্টায়।

‘পরীক্ষায় বসার নির্বাচিত ভর্তিচ্ছুদের প্রবেশপত্র নেওয়ার সময় প্রতি ইউনিটে ৩০০ টাকা মূল ফি, সেই ইউনিটের সকল বিভাগ প্রতি ৬০ টাকা এবং ১০ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে’- যোগ করেন তিনি।

রাবিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বহাল থাকছে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য বলেন, ২০১৬-১৭ এবং ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা এখানে আবেদন করতে পারবেন। ভর্তিচ্ছুদের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে ৫৫ টাকা জমা দিয়ে প্রাথমিকভাবে আবেদন করতে হবে। ফলাফলের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের বাছাই করে প্রতি ইউনিটে ১৬ হাজার পরীক্ষার্থীকে পরীক্ষায় বসার সুযোগ দেয়া হবে।

আগামী ২২ ও ২৩ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ২২ ও ২৩ অক্টোবর পরীক্ষা নিয়ে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ফল প্রকাশ করা হবে। এরপর ২৫ নভেম্বর থেকে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। এছাড়া ক্লাস শুরু হবে ২১ জানুয়ারি।

এদিকে আবেদন যোগ্যতার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক শাখার উপ-রেজিস্ট্রার আসলাম হোসেন জানান, ভর্তি পরীক্ষায় প্রাথমিকভাবে আবেদনের জন্য মানবিক শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০ থাকতে হবে। বাণিজ্য শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.০০ এবং বিজ্ঞান শাখা থেকে এসএসসি বা সমমান এবং এইচএসসি বা সমমান উভয় পরীক্ষায় চতুর্থ বিষয়সহ ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.৫০ পেতে হবে। ‘ও’ লেভেল পরীক্ষায় ৫টি বিষয়ে এবং ‘এ’ লেভেলে অন্তত দুটি বিষয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে এবং উভয় লেভেলে মোট ৭টি বিষয়ের মধ্যে চারটি বিষয়ে কমপক্ষে ‘বি’ গ্রেড ও তিনটি বিষয়ে ‘সি’ গ্রেড থাকতে হবে। উভয় লেভেলের ভর্তিচ্ছুদের পরীক্ষায় প্রশ্ন প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ইংরেজিতে অনুবাদ করা হবে।

ইউনিটগুলো হলো-
‘এ’- কলা ও চারুকলা অনুষদ।
‘বি’- বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ)।
‘সি’- বিজ্ঞান ও প্রকৌশল অনুষদ।
‘ডি’- জীব, ভূ-বিজ্ঞান ও কৃষি অনুষদ।
‘ই’- সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট।