ঝিনাইদহে সেনা সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা

ঝিনাইদহের বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের পাশে দুর্বৃত্তদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে সাইফুল ইসলাম (৩২) নামের এক সেনা সদস্য নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার রাত ১০.২০ মিনিটের দিকে। সে ওই গ্রামের হাফিজ উদ্দিনের ছেলে এবং টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সেনাবাহিনীর মেডিকেল কোরের সদস্য। সাইফুল ১৭/০৮/১৮ তারিখে ১০ দিনের ঈদের ছুটিতে বাড়ি এসেছিল।

ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, রাতে চুয়াডাঙ্গা জেলার বদর গঞ্জ বাজার থেকে সাইফুল ইসলাম তার শশুরকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল। এসময় কতিপয় ব্যক্তি তাদের গতিরোধ করলে তারা মটর সাইকেল থেকে নেমে যাওয়ার চেষ্টা করে। এসময় পেছন দিক থেকে দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে সাইফুলকে কুপিয়ে আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে আনলে চিকিৎসক মৃত ঘোষনা করে। তবে কারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের ধরতে অভিযান চলছে।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও নিহতের ছোট ভাই মনিরুল ইসলাম জানান, বড় ভাইয়ের শশুর মাগুরা জেলার আলমখারী থেকে আসছিল আমাদের বাড়িতে। তাকে নিয়ে মটর সাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলাম। পথিমধ্যে বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পের পাশে ৭/৮ জনের একদল ডাকাত রাস্তায় গাছ ফেলে আমাদের বেরিকেড দেয়। সে সময় আমরা দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে পিছন দিক থেকে বড় ভাইকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তারা কুপাতে থাকে। এসময় বংকিরা পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে এ ঘটনা জানানোর পরও পুলিশ আসেনি। পরে আমরা ভাইকে হাসপাতালে আনলে ডাক্তার মৃত ঘোষনা করে।

এদিকে নিহতের বাবা হাফিজ উদ্দিন বলেন, যারা আমার ছেলেকে হত্যা করেছে আমরা তাদের শাস্তি চাই।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা: শাহ আলম প্রিন্স জানান, নিহতের ঘাড়ে সহ ৪ টি স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ধারনা করা হচ্ছে অতিরিক্ত রক্থক্ষরনের কারনেই তার মৃত্যু হয়েছে।

নিহত সাইফুলের স্ত্রী শাম্মি আক্তার দেশের সেরা একজন এ্যথলেটিক হিসেবে বহু দেশে ক্রীড়া নৈপুন্য প্রদর্শন করে খ্যাতি অর্জন করেন বলে জানান তার ভাসুর আব্দুল লতিফ। নিহত সাইফুলের দুই সন্তান রয়েছে। তাদের নাম আবু হামজা ও আবু হুরাইরা।