‘ধমকে’ সংবিধান পাল্টাব না: এলজিআরডি মন্ত্রী

কারও ধমকে সংবিধান পাল্টে যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন। বলেছেন, সংবিধানে যেভাবে আছে, নির্বাচন হবে সেভাবেই।

ঈদের তিন দিন এবং দুই দিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রবিবার সচিবালয়ে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ক্ষমতাসীন দলের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য।

আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সবার অংশগ্রহণ তো দলের ব্যাপার। এটা তো আমাদের কাছে কোন চ্যালেঞ্জ নয়। নির্বাচন যথা নিয়মে হবে। এটা একটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটাকে ভয় পাওয়ার, শঙ্কা করার বা উদ্বেগের তো কোনো কারণ নেই।’

‘উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে এটাই তো আমরা প্রত্যাশা করি। যদি না কেউ ইচ্ছা কইরা প্লান কইরা জনগণের সমস্যা সৃষ্টি না করে।’

উচ্চ আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে সংবিধানবিরোধী বলে রায় দেয়ার পর সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে এই সরকার বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের বিধান ফিরিয়ে আনা হয়।

তবে এর প্রতিবাদে ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন বর্জনের পাশাপাশি তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে আন্দোলনে নামে বিএনপি। সে সময় সহিংস আন্দোলনেও নির্বাচন ঠেকাতে না পারা বিএনপি এবারও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের দাবি জানিয়ে যাচ্ছে। আর দাবি পূরণ না করলে আবার আন্দোলনে নামার হুমকি দিচ্ছে তারা।

এর মধ্যে দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তবে এলজিআরডি মন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, সংবিধানে যা আছে, সেভাবেই ভোট হবে। খালেদা জিয়ার প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘কেউ যদি কারাগারে বসে হউক, কারাগারের বাইরে হোক কিংবা আসমানে বসে যদি কেউ দাবি করে, সংবিধান পরিবর্তন না কইরা কি কারও কিছু করার শক্তি আছে?’

তবে সংবিধান পরিবর্তন হবে না জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনার (খালেদা জিয়া) ধমকে আমরা কি সংবিধান রাতারাতি পরিবর্তন কইরা ফেলব? এটা কি সম্ভব হবে? এই সব দাবি-দাওয়া খালি পিতলের দাবি দাওয়ার মতো।’

আওয়ামী লীগ সরকারকে সফল দাবি করে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা কিন্তু উন্নয়নের মূল কথাটা জনগণের দ্বারে পৌঁছে দিয়েছি। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আমি সবাইকে আহ্বান জানাব।’

‘আমরা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলা সেন্টারকে শহরে রূপান্তরের কাজ করছি। আমরা প্রায় প্রতিটি গ্রাম সড়ক যোগাযোগের আওতায় এনেছি। বিদ্যুৎ আর যোগাযোগ ব্যবস্থা থাকলে গ্রাম আর গ্রাম থাকবে না। শহর হয়ে যাবে।’

উন্নয়নের নমুনা এবার ঈদে দেখা গেছে বলেও মনে করেন এলজিআরডি মন্ত্রী। বলেন, ‘আমাদের দেশের মানুষের সক্ষমতা ব্যাপক বেড়েছে। আমি প্রতিবছর ঈদে ফরিদপুরে যাই। এবার আমার কাছে মনে হয়েছে অভূতপূর্ব অবস্থা বিরাজ করছে। কেউ মরাধরা গরু কোরবানি করেনি। সবাই ভালো গরু কোরবানি করেছে। সামগ্রিকভাবে আমাদের সকলের সক্ষমতা বেড়েছে।’

ফরিদপুর সিটি করপোরেশন কবে হবে- জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ‘ফরিদপুর সিটি করপোরেশন সচিব কমিটিতে অনুমোদন হয়েছে। এটা নিকারে যাবে এরপরই চূড়ান্ত হবে।’