জাপানে টাইফুন জেবির আঘাতে নিহত ১০

জাপানের পশ্চিমাঞ্চলে শক্তিশালী টাইফুন জেবির আঘাতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছে।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে জেবি দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলোতে আঘাত হানে বলে জানিয়েছেন জাপান প্রতিনিধি।

ওই দিন দুপুরের দিকে টাইফুনটি শিকোকু এলাকায় আঘাত হানে, পরে তা ওসাকার দিকে অগ্রসর হয় বলে জাপানের আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন।

এ সময় ওই এলাকাগুলোর ওপর দিয়ে ঘন্টায় ২১৬ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যায়।

কোরিয়ান ভাষায় জেবি অর্থ ‘সোয়ালো’ বা আবাবিল পাখি। জেবি অল্প সময়ের জন্য অতি শক্তিশালী একটি টাইফুনে পরিণত হয়েছিল। এতে এটি ২৫ বছরের মধ্যে জাপানে আঘাত হানা সবচেয়ে শক্তিশালী টাইফুন হয়ে দাঁড়ায় বলে খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

প্রায় তিন হাজার পর্যটক জাপানের প্রধান দ্বীপ হোনশুর দক্ষিণ-মধ্যাঞ্চলীয় ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার পাশে সাগরের মাঝে একটি কৃত্রিম দ্বীপে অবস্থিত কানসাই বিমানবন্দরে আটকা পড়ে।

মঙ্গলবার সারারাত তারা বিমানবন্দরে অবস্থান করার পর বুধবার সকালে হাইস্পিড বোট যোগে তাদের নিকটবর্তী কোবি বিমানবন্দরে সরিয়ে নিতে শুরু করেন বিমানবন্দর কর্মকর্তারা, জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এনএইচকে।

টেলিভিশনে সম্প্রচারিত ফুটেজে কানসাই বিমানবন্দরে আটকা পড়া পর্যটকদের লাইন ধরে বিমানবন্দরের একটি খাবারের দোকান থেকে খাবার ও পানীয় কিনতে দেখা গেছে।

টাইফুনে ক্ষতিগ্রস্ত কানসাই বিমানবন্দর পুনরায় চালু করতে কয়েকদিন থেকে সপ্তাহ লেগে যেতে পারে বলে এয়ারলাইন শিল্পের এক অনামা ব্যক্তির বরাতে জানিয়েছে ইয়োমিউরি সংবাদপত্র। কবে চালু করা যাবে তা ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণের ওপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ওসাকা ও এর আশপাশের ১০ লাখেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল। টাইফুনের কারণে অনেকগুলো ফ্লাইট ও ট্রেনের সূচী বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও এনএইচকে।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, টাইফুনে কুলিং টাওয়ার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় জাপানের জেএক্সটিজি নিপ্পন অয়েল এন্ড এনার্জি কর্পোরেশন তাদের ওসাকার সাকাই রিফাইনারির অন্ততপক্ষে একটি ইউনিট বন্ধ করে দিয়েছে।

চলতি গ্রীষ্মে ব্যাপক বৃষ্টিপাত, ভূমিধস, বন্যা ও অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়া গরমে কয়েকশত লোক মারা যাওয়ার পর এবার শক্তিশালী টাইফুনের কবলে পড়ল জাপান।