কাদের সিদ্দিকীর আলটিমেটাম, অতঃপর…

কাদের সিদ্দিকীর সাত দিনের আলটিমেটাম দেয়ার পর সখীপুরে পুলিশ তার (কাদের সিদ্দিকী) দলের নেতার নাম মামলা থেকে কেটে যুবদল নেতার নাম অন্তর্ভুক্ত করল।

গত ৭ সেপ্টেম্বর নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ এনে সখীপুর থানার এসআই সাব্বির হোসেন বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপির ১৫ ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মীর জুলফিকার শামীমকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এতে অজ্ঞাত আরও ৫০-৬০ জনকে আসামি করা হয়।

এই মামলা দায়েরের প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে স্থানীয় ডাকবাংলো চত্বরে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এক প্রতিবাদসভার আয়োজন করে। এ সভায় দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর-উত্তম সখীপুর থানার ওসিকে ৭ দিনের মধ্যে তার দলের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার শামীমের নাম কেটে দেয়ার দাবি জানান। ওই প্রতিবাদসভায় তিনি তার দলের নেতাদেরসহ বিএনপির নেতাদের নামে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছিলেন।

মামলা দায়েরের চার দিন পর পুলিশ এজাহার সংশোধন করে ওই মামলার আসামি থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মীর জুলফিকার শামীমের নাম বাদ দিয়েছে। তার নামের স্থলে উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি শামীম আল মামুনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

অপরদিকে গ্রেফতারের ভয়ে বিএনপির এমপি প্রার্থী শেখ মোহাম্মদ হাবীবসহ শীর্ষনেতারা পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীরাও গণসংযোগ করতে পারছে না।

স্থানীয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই মামলার ১৬ নম্বরের আসামির নাম লেখা হয় জুলফিকার শামীম। বাবার নাম মওলানা আবুল হোসাইন। ঠিকানা লেখা হয় সখীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড। নামটির সঙ্গে উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদকের নাম ও বাবার নাম হুবহু মিলে যায়। তবে মামলায় ওই নেতার ঠিকানায় ৪ নম্বর ওয়ার্ড লেখা থাকলেও ওই নেতার বাড়ি ৮ নম্বর ওয়ার্ডে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মজিবর রহমান জানান, তদন্ত করে মামলার এজাহার সংশোধন করা হয়েছে। ১৬ নম্বর আসামি হিসেবে জুলফিকার শামীম নামটি সংশোধন করে শামীম আল মামুন করা হয়েছে। বাবার নাম আবুল হোসেনের পরিবর্তে রাঙ্গু মিয়া লেখা হয়েছে। সংশোধিত আসামি শামীম আল মামুন উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি। তিনি বর্তমানে সখীপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ভাড়াটিয়া বাসায় থাকেন।

পালিয়ে থাকা উপজেলা যুবদলের সহসভাপতি ও নতুন আসামি শামীম আল মামুনের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে ওই মামলায় আমার নাম ছিল না। পুলিশ নিজেদের ওপর চাপ কমানোর জন্য অন্যায়ভাবে আমার নাম সংযোজন করে দিয়েছে।

সখীপুর থানার ওসি এসএম তুহিন আলী বলেন, মামলায় কারো নাম পরিবর্তন করা হয়নি। যদি কেউ করে থাকে তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় জানান, এজাহার সংশোধন করা হয়নি। জুলফিকার শামীম আসামি আছে।