এবার ২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে ট্রাম্পের শুল্কারোপ

চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে যখন দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ক্রমাবনতি হচ্ছে তখন নতুন করে ২০ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্যে শুল্কারোপ করতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর আগে দুই ধাপে চীনা পণ্যে উচ্চ শুল্কারোপ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। জবাবে বেইজিংও প্রায় সমপরিমাণ মার্কিন পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করেছে।

তবে নতুন করে তৃতীয় ধাপে যে শুল্কারোপের কথা মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তা এ যাবৎকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি এবং শুল্কের হারও বেশি।

বিবিসি বলছে, চীন যদিও তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখায়নি। কিন্তু মার্কিন প্রশাসনের সর্বশেষ ঘোষণার ফলে দুই দেশের মধ্যে যে আলোচনা চলছিল তা ভেস্তে যেতে পারে।

খবরে বলা হয়েছে, তৃতীয় ধাপে ট্রাম্প প্রশাসন যে শুল্কারোপ করতে যাচ্ছে তাতে প্রায় ছয় হাজার পণ্যকে টার্গেট করা হেয়েছে। এর মধ্যে হ্যান্ডব্যাগ, চাল, টেক্সটাইলসহ অন্যান্য পণ্য রয়েছে। তবে শেষ পর্যায়ে মার্কিন কর্মকর্তারা তালিকা থেকে তিন শ পণ্য বাদ দিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে স্মার্ট ওয়াচ, হাই চেয়ার ইত্যাদি।

মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে তালিকাভুক্ত পণ্য আমদানিতে ১০ শতাংশ শুল্কারোপ করা হবে। কিন্তু এর মধ্যে যদি দুই দেশ কোনো চুক্তিতে পৌঁছাতে না পারে তাহলে আগামী বছরের শুরু থেকে এই শুল্কের হার ২৫ শতাংশ হবে।

ট্রাম্প প্রশাসন বলছে, চীনের ‘অন্যায্য’ ব্যবসায়িক নীতির কারণে এসব শুল্কারোপ করা হচ্ছে।

মার্কিন কোম্পানিগুলো ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, এর ফলে তাদের পণ্যের দাম বেড়ে যাবে এবং তাদের কর্মী ছাঁটাই করতে বাধ্য হতে হবে। কারণ তাদের অনেক পণ্য চীনে উৎপাদন হয়।

কিন্তু মার্কিন কর্মকর্তারা বলছেন, এই বাণিজ্যযুদ্ধ তাদের অর্থনীতিতে তেমন কোনো প্রভাব ফেলবে না। কারণ শুল্কারোপের ফলে চীনা পণ্যের দাম বাড়বে। তখন মার্কিনিরা স্থানীয় পণ্য কিনবে, যা বরং মার্কিন অর্থনীতির জন্যই ভালো।

এর আগে চীনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র যদি আবারও তাদের পণ্যে শুল্কারোপ করে তাহলে বেইজিং তার পাল্টা পদক্ষেপ নেবে।

তবে মার্কিন প্রশাসন সতর্ক করে বলেছে, চীন যদি সর্বশেষ শুল্কারোপের ব্যাপারে পাল্টা পদক্ষেপ নেয় তাহলে নতুন করে ২৬ হাজার ৭ শ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হবে। আর এরপর যদি পাল্টা পদক্ষেপ নেয় তাহলে আরো ২৬ হাজার ৭ শ কোটি ডলার মূল্যের পণ্যের ওপর শুল্কারোপ করা হবে।

আর যদি তাই হয়, তাহলে প্রায় সব চীনা পণ্যেই ট্রাম্প প্রশাসনের শুল্কারোপ করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।