রাষ্ট্রের দায়িত্বে থাকতে হবে বুদ্ধিমানদের: বি চৌধুরী

কোটাব্যবস্থার সমালোচনা করে বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট সাবেক রাষ্ট্রপতি অধ্যাপক এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘নির্বোধ ব্যক্তিরা কেন দেশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকবে? দায়িত্বে থাকতে হবে মেধাবীদের, বুদ্ধিমানদের। রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব (প্রশাসনে) মেধাবীদেরই গুরুত্ব দিতে হবে।’

শনিবার বিকালে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশে বদরুদ্দোজা চৌধুরী এসব কথা বলেন।

সাবেক এ রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আজকের মেধাবী তরুণ কালকের ভবিষ্যৎ। তিনি কোটা আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে বলেন, তাদের ওপর ছুরি দিয়ে আঘাত করবেন, চাপাতি দিয়ে আঘাত করবেন। গুন্ডা লেলিয়ে দেবেন। আপনি করেন নাই, আপনার লোকজন করেছে। এটা লজ্জার বিষয়।’ বি. চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবাদী জাতি, বাংলাদেশ স্বাধীনতা যুদ্ধ করেছে, বাংলাদেশ পাকিস্তানি স্বৈরাচার বরদাশত করে নাই, প্রতিবাদ করেছে। এখনো করবে।

এ সময় তিনি দুর্নীতি ও ঘুষ নিয়ে মন্তব্য করে বলেন, স্পিড মানি বলে সেটা বৈধ করা হয়েছে। সরকারের প্রতিটা মন্ত্রণালয়ে চ্যানেল করেছে একটা মন্ত্রণালয়ও ঘুষ ছাড়া চলে না। এর আগে শনিবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে তিনি গুলিস্তানে ঢাকা মহানগর নাট্যমঞ্চে সমাবেশে যোগ দেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন ছেলে মাহী বি চৌধুরী ও মেজর (অব.) মান্নান।

প্রসঙ্গত, শনিবারের সমাবেশে বি চৌধুরীর অংশগ্রহণ নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তা ছিল। গত কয়েক দিন মাহমুদুর রহমান মান্নার চেষ্টায় তিনি সমাবেশে এলেন। শুক্রবার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলসহ তিন সিনিয়র নেতাও যান তার বারিধারার বাসায়।

বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটে সমাবেশ শুরু হয়। ‘কার্যকর গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলুন’ শীর্ষক এ সমাবেশের আয়োজন করেছে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া।

জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নাগরিক সমাবেশে বদরুদ্দোজা চৌধুরী বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলটির স্থায়ী কমিটির আরও তিন সদস্য সমাবেশে উপস্থিত রয়েছেন।

সমাবেশে যোগ দেয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে রয়েছেন ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ড. আবদুল মঈন খান।

এছাড়া বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটের কয়েকটি শরিক দলের নেতাও যোগ দিয়েছেন সমাবেশে। ড. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত আছেন ব্যারিস্টার মঈনুল হোসেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, শিক্ষাবিদ ড. মোমেনা হোসেন প্রমুখ।

সমাবেশে আরও উপস্থিত রয়েছেন তেল গ্যাস বিদ্যুৎ বন্দর ও খনিজ সম্পদ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।