কাল দেখবেন কত লোক আসে: গয়েশ্বর

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভার অনুমতি পাওয়ার পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জানিয়েছেন, তাদের জনসভা হবে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও কঠোর নজরদারির মধ্যে। সেখানে বিপুলসংখ্যক লোকের সমাবেশ হবে বলেও আভাস দিয়েছেন তিনি।

শনিবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে ২২ শর্তে আগামীকাল রবিবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমতি পায় বিএনপি।

গয়েশ্বর বলেন, ‘সরকারের যে চিরাচরিত স্বভাব আছে সেই স্বভাব থেকেও তারা বিরত থাকবেন না। কারণ এই অনুমতি দিতে যখন এত টালবাহানা করছে তার ফাঁকে ফাঁকে শুনছেন না তারা রাজপথ ও দেশ দখল করবে। তারা সবই দখল করছে, ব্যাংক দখল করছে। কোনো কিছুর দখল বাকি নেই। নির্বাচন কমিশন, মঞ্জুরি কমিশন, পাবলিক কমিশন দখল করছে। আবার সংবাদপত্রও দখল করে ফেলেছে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এখন শেষ পর্যন্ত দেশ দখল করবে। এই কথার আড়ালে আরও কথা আছে না। তারা রাজপথে মোকাবেলা করবে। এখানেই আমাদের সংশয়। এই যে আগাম কথা বিএনপির মিটিংয়ে বিএনপি কেন অস্থিরতা, নাশকতা করবে। আমার ধারণা সরকার এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটানোর জন্য এই আগাম কথাগুলো বলছে।’

গয়েশ্বর বলেন, ‘সেই ক্ষেত্রে অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও খুব কঠোর নজরদারির মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের সভা জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণের মতো করে করব। তখন আপনারা দেখবেন কাল কত লোক আসে আর কত লোক আসবে না।’

শনিবার দুপুরে ২২টি শর্তে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে লিখিত অনুমতি দেয়া হয় বিএনপিকে।

পরে দলটির নেতারা জনসভাস্থল পরিদর্শন করেন যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট মুজিবুর রহমান সারোয়ার, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

এসময় তারা সাউন্ড সিস্টেম, মঞ্চ তৈরির জন্য ডেকোরেটরের কর্মীদের সব কাজ বুঝিয়ে দেন।