শাহবাজ শরিফের ১০ দিনের রিমান্ড

পাকিস্তানের লাহোরের একটি জবাবদিহি আদালত পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ(পিএমএল-এন)’র সভাপতি শাহবাজ শরিফের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে। তার বিরুদ্ধে আশিয়ানা ইকবাল হাউজিং স্কিম দুর্নীতির মামলায় রিমান্ড আবেদন করে পাকিস্তানের জাতীয় জবাবদিহি সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্ট্যাবিলিট ব্যুরো (এনএবি)।

শনিবার ডন নিউজ জানায়, শুক্রবার এনএবি তাকে । আজ এনএবি তার ১৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।

শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ছোট ভাইও তিনি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী থাকার সময় পানি বিশুদ্ধকরণ (সাফ পানি) প্রকল্প এবং আশিয়ানা হাউজিং স্ক্রিমে দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শুক্রবার ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরোর মুখপাত্র নওয়াজিশ আলি আসিম পিটিআই কে বলেছেন, ‘শাহবাজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনএবি’র লাহোর কার্যালয়ে তলব করা হয়েছিল। আসিয়ানা হাউজিং স্ক্রিম এবং পাঞ্জাব সাফ পানি কোম্পানির নিয়ম ভঙ্গ করে নিজের পছন্দের ফার্মকে ঠিকাদারি পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।’

আজকের শুনানি জাজেজ চেম্বারে হওয়ার কথা থাকলেও পিএমএল-এন’র আইনজীবীরা প্রতিবাদ জানালে পরে উন্মুক্ত আদালতে নেয়া হয়।

শুনানির সময় শাহবাজ শরিফ বলেন, ‘আমি অবৈধ কোনো কাজ করিনি। সবসময়ই দেশের কল্যাণে কাজ করেছি।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা লুটেরাদের কাছ থেকে মিলিয়ন মিলিয়ন টাকা দেশের কোষাগারে জমা করেছি।’

চৌধুরী লতিফ অ্যান্ড সন্সের সঙ্গে আশিয়ানা হাউজিং স্কিমের চুক্তির বাতিল করার আদেশ দেয়ার অভিযোগ আনা হয় শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে। প্যারাগন সিটি প্রাইভেট লিমিটেডের এর প্রক্সি প্রতিষ্ঠান লাহোর কাসা ডেভলপারের সঙ্গেও প্রকৌশল চুক্তি বাতিলের নির্দেশ দেন তিনি। এতে ১৯ কোটি ৩০ লাখ রুপি রাজস্ব হারায় সরকার।

আজ আদালতে শাহবাজ শরিফের আইনজীবী আমজাদ পারভেজ বলেন, ‘চৌধুরী লতিফ একটি দুর্নীতির মামলায় পলাতক আছেন। তার কোম্পানি কালো তালিকাভুক্ত।’

শুনানির পর শাহবাজ শরিফকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে এনএবি কার্যালয়ে নেয়া হয়। গতকাল রাতেও তাকে সেখানে থাকতে হয়েছিল।

পিএমএল-এনের মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব আদালতের বাইরে সাংবাদিকদের বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য সরকার এনএবিকে ব্যবহার করছে।