সেন্ট মার্টিনকে মিয়ানমারের অংশ দেখানোর চেষ্টায় ঢাকার প্রতিবাদ

কক্সবাজারের সেন্টমার্টিন দ্বীপের কিছু অংশ মিয়ানমার ইচ্ছেকৃতভাবে নিজেদের দাবির পায়তারা করছে।

এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে ঢাকায় নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও-কে তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. খুরশেদ আলমের দফতরে মিয়ানমার রাষ্ট্রদূতকে তলব করা হয়।

এ সময় তার হাতে একটি কূটনৈতিক প্রতিবাদপত্র ধরিয়ে দেয়া হয়।

তবে এ বিষয়ে মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত কিংবা বাংলাদেশের পররাষ্ট্র দফতরের কেউ আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেননি।

জানা গেছে, সম্প্রতি মিয়ানমার সরকারের জনসংখ্যা বিষয়ক বিভাগের ওয়েবসাইট তাদের দেশের যে মানচিত্র প্রকাশ করেছে, তাতে সেন্টমার্টিন দ্বীপকে তাদের ভূখণ্ডের অংশ দেখানো হয়েছে।

ওই মানচিত্রে মিয়ানমারের মূল ভূখণ্ড এবং বঙ্গোসাগরে বাংলাদেশের অন্তর্গত সেন্টমার্টিন দ্বীপকে একই রঙে চিহ্নিত করা হয়। অন্যদিকে বাংলাদেশের ভূভাগ চিহ্নিত করা হয় অন্য রঙে।

তলব করে বাংলাদেশের ভূখণ্ড মিয়ানমারের মানচিত্রে এভাবে প্রদর্শনের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয় রাষ্ট্রদূত উ লুইন ও’র কাছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, জবাবে উ লুইন ও জানিয়েছেন, ভুলক্রমে এটা হয়ে থাকতে পারে।

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে দু’দেশের টানাপড়েনের মধ্যে মিয়ানমার এমন কাণ্ড করল।

কক্সবাজারের প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিন সৃষ্টি থেকে বর্তমান বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অন্তর্গত। ব্রিটিশ শাসনাধীনে ১৯৩৭ সালে যখন বার্মা ও ভারত ভাগ হয়, তখন সেন্টমার্টিন ভারতে পড়েছিল।

১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় সেন্টমার্টিন পাকিস্তানের অন্তর্ভূক্ত হয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এটি বাংলাদেশে অন্তর্গত। ১৯৭৪ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে যে সমুদ্রসীমা চুক্তি হয়, সেখানেও সেন্টমার্টিন দ্বীপপুঞ্জকে বাংলাদেশের অংশই ধরা হয়।